মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • সারেঙ্গা |
এক পুলিশ আধিকারিক ও এক সিপিএম নেতাকে খুন-সহ নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে সারেঙ্গা থেকে এক মাওবাদী স্কোয়াড সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সরকার টুডু। বছর ৫০-এর ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি সারেঙ্গা থানার কয়মা গ্রামে। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে ধরা হয়। রবিবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। বাঁকুড়ার জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, “সরকার টুডু নামে ধৃত ওই ব্যক্তি মাওবাদীদের লালগড় স্কোয়াডের সদস্য। মাওবাদী নেতা সিদো সোরেনের ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে সারেঙ্গার এক সিপিএম নেতাকে খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। সারেঙ্গা থানার আইসি রবিলোচন মিত্র খুনের ঘটনাতেও তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়াও এলাকায় মাওবাদী নাশকতায় তিনি যুক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নামে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। শনিবার রাতে তাঁর বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে ধরেছে। লালগড় বা গোয়ালতোড় থানা এলাকায় নাশকতার কোনও ঘটনায় সরকার টুডু জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
এক পুলিশ আধিকারিক ও এক সিপিএম নেতাকে খুন-সহ নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে সারেঙ্গা থেকে এক মাওবাদী স্কোয়াড সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সরকার টুডু। বছর ৫০-এর ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি সারেঙ্গা থানার কয়মা গ্রামে। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে তাঁকে ধরা হয়। রবিবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে হাজির করানো হলে সাত দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। বাঁকুড়ার জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, “সরকার টুডু নামে ধৃত ওই ব্যক্তি মাওবাদীদের লালগড় স্কোয়াডের সদস্য। মাওবাদী নেতা সিদো সোরেনের ঘনিষ্ঠ ওই ব্যক্তি ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে সারেঙ্গার এক সিপিএম নেতাকে খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। সারেঙ্গা থানার আইসি রবিলোচন মিত্র খুনের ঘটনাতেও তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়াও এলাকায় মাওবাদী নাশকতায় তিনি যুক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নামে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আরও তথ্য পাওয়ার জন্য পুলিশ তাঁকে জেরা করছে। পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে প্রথমে জনযুদ্ধ গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন সরকার টুডু। ২০০৫ সালে তিনি মাওবাদী দলে যোগ দেন এবং পরে মাওবাদীদের লালগড় স্কোয়াডে যোগ দেন। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সারেঙ্গার গোবিন্দপুরে পুলিশ ও মাওবাদীদের গুলির লড়াইয়ে নিহত হন সারেঙ্গা থানার আইসি রবিলোচন মিত্র। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সারেঙ্গার খেপারডাঙা গ্রামের বাসিন্দা সিপিএমের জোনাল সদস্য রঞ্জিত হেমব্রমকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে খুন করে মাওবাদীরা। ওই দু’টি ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সরকার। এ ছাড়া আরও কয়েকটি নাশকতার ঘটনায় তাঁর জড়িত থাকার খবর মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। এসপি দাবি করেন, “ঘটনার পর থেকে বাড়িছাড়া ছিলেন সরকার টুডু। শনিবার রাতে তাঁর বাড়ি ফেরার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে ধরেছে। লালগড় বা গোয়ালতোড় থানা এলাকায় নাশকতার কোনও ঘটনায় সরকার টুডু জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
|
কো-অর্ডিনেশন কমিটি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। রবিবার পুরুলিয়ায় তিনি বলেন, “আমরা ৭০ দেখেছি। জরুরি অবস্থা দেখেছি। শ্রমিক-কর্মচারীরা ওসব দেখেছেন। ওর কী সাধ্য ভাঙবেন! এসবের কোনও গুরুত্ব দিই না।” শনিবার মুখ্যমন্ত্রী এক সভায় কো-অর্ডিনেশন কমিটি ভেঙে দিতে বলেছিলেন।ওই কমিটির সদস্যেরা কাজ করেন না বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন।
|
ক্রিকেট মাঠে ক্যাচ ধরতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোট পেয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের। শনিবার আড়শার করণডি গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম কমলেশ কুমার (১৪)। তার বাড়ি করণডি গ্রামে। তোর বাবা লক্ষ্মীকান্ত কুমার বলেন, “শনিবার গ্রামের মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছিল ছেলে। পিছনের দিকে ছুটে একটা বল ধরতে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে মাঠে পড়ে যায়। মাথায় চোট লাগে। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।”
|
পানীয় জলের একটি প্রকল্প চালু হল রাইপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শনিবার ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। রাইপুরের বিডিও দীপঙ্কর দাস বলেন, “পর্যদ ওই প্রকল্পের জন্য ২৪ লক্ষ টাকা দিয়েছে। প্রতিদিন ১০ হাজার লিটার পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি এলাকার প্রায় ৫০০টি পরিবারকে জল দেওয়া হবে।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাইপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় হাঁসদা-সহ অনেকে। |