জেটিঘাটে বিপজ্জনক ফাটলের জন্য নামখানায় হাতানিয়া-দোহানিয়া নদীতে ভেসেলে গাড়ি পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর ফলে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বকখালিতে গাড়ি নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও অসুবিধায় পড়ছেন। বন্ধ হয়ে গিয়েছে কলকাতা-বকখালি রুটের ভূতল পরিবহণ নিগমের বাস চলাচল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে পযর্টকেরা বকখালি বেড়াতে আসেন। নারায়ণপুর পর্যন্ত এসে তাঁদের হাতানিয়া দোহানিয়া নদী পেরিয়ে ফের নামখানা থেকে বাসে বা অন্যান্য গাড়িতে বকখালি পোঁছন। যাঁরা গাড়ি নিয়ে আসেন, তাঁদের জন্য রয়েছে গাড়ি-সহ ভেসেলে পারাপারের ব্যবস্থা। বছরের পর বছর এ ভাবেই চলে আসছে। কিন্তু গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হঠাৎই ভেসেলে গাড়ি পারাপারের সময় জেটিঘাটে বড় ধরনের ফাটল দেখা যায়। এর পর নিরাপত্তার কারণে ভেসেলে গাড়ি পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
১৯৯৮ সাল থেকে ব্যক্তি মালিকানায় লিজের ভিত্তিতে এই ঘাটে পারাপার চলচিল। কিন্তু ২০১৩ সালে ঘাটে ভেসেল পারাপারের সমস্ত দায়িত্ব চলে যায় ভূতল পরিবহণ দফতরের হাতে। বর্তমানে ওই ঘাট দেখভাল করেন ২৬ জন কর্মী। দু’দিকের ঘাটই দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। এই অবস্থায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভেসেলে গাড়ি ওঠা-নামার জেটির বেশ কিছুটা অংশে ফাটল দেখা দেয়। বিষয়টি ভূতল পরিবহণ দফতরের ডিপো ম্যানেজারকে জানানো হলে পরিস্থিতি দেখার জন্য তিনি একজন বাস্তুকারকে পাঠান। ওই বাস্তুকার জেটিঘাট পরিদর্শন করার পরে ঘাটে ভেসেল পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়। দৈনিক ২৫০ থেকে ৩০০টি গাড়ি পারাপার করত। এর মধ্যে যেমন ব্যবসায়ীদের পণ্যবোঝাই গাড়ি রয়েছে তেমনই পর্যটকদের গাড়িও রয়েছে। ভেসেলে গাড়ি পারাপার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে মৎস্য ও সব্জি ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রীমন্ত মালি বলেন, “ওই ঘাট দ্রুত মেরামতির জন্য ভূতল পরিবহণ দফতরে জানানো হয়েছে।” ভূতল পরিবহণ দফতরের ডিপো ম্যানেজার (অ্যাক্টিং) রঞ্জন দত্ত বলেন, “ঘাটের ফাটল দেখতে বাস্তুকার গিয়েছিলেন। ঘাট দ্রুত মেরমতির চেষ্টা চলছে। আশা করা যায় মঙ্গলবারের মধ্যে বার্জে গাড়ি পারাপার চালু করা যাবে।” |