মোটরবাইকে করে এসে দোকানে ঢুকে দুই ব্যবসায়ী-সহ পাঁচ জনকে গুলি করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে পালাল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার গৌরদাসপাড়ায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান এক ব্যবসায়ী।
পুলিশ জানায়, নিহতের নাম অসিত মান্না (৫৩)। তাঁর ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা রয়েছে। ঘটনাস্থলে যান দক্ষিণ ২৪ পরগনার এএসপি (পূবর্র্) কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই। এসপি প্রবীণকুমার ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘শাজাহান সর্দার নামে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করে বাকিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।” আহতেরা কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি। শাজাহানের কাছ থেকে দু’টি নাইন এমএম রিভলভার এবং লুঠের টাকার কিছুটা মিলেছে। তার বাড়ি ক্যানিংয়ের ধোসাহাটের ধর্মতলায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাত পৌনে ৮টা নাগাদ অসিতবাবু ভাই অমিত, ম্যানেজার অনিল শাসমল এবং দোকানের দুই কর্মী প্রবীর মণ্ডল ও শঙ্কর হালদারকে নিয়ে কলকাতায় মালপত্র কিনতে যাওয়ার জন্য টাকার হিসাব করছিলেন। দু’টি মোটরবাইকে ৬ জন দুষ্কৃতী আসে। দোকানে ঢুকে তারা অসিতবাবুদের কপালে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা চায়। কিন্তু তাঁরা রাজি না হওয়ায় গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। গুলিতে সকলেই লুটিয়ে পড়েন। অমিতবাবু জানান প্রায় ১০ লক্ষ টাকাভর্তি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী অসিত মান্নার ভাইপো সুদীপ মান্না বলেন, “তখন বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। দেখি কাকার দোকানের আগেই দু’টি মোটরবাইকে ছ’জন বসে কথা বলছে। কাকারা তখন দোকানেই ছিলেন। আমি দোকানের পাশেই আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ি। কিছুক্ষণ পরেই পরপর গুলির শব্দ। বাড়ির বাইরে আসতেই দেখি ওই ছ’টা ছেলে মোটরবাইকে পালাচ্ছে। হঠাৎই ওরা একটা বোমা ছোড়ে। সেটা ফাটেনি।” তিনি জানান, এর পরে দোকানে গিয়ে দেখেন, দুই কাকা এবং ম্যানজোর অনিলবাবু, প্রবীরবাবুা ও শঙ্করবাবু পড়ে রয়েছেন। সুদীপই বাসন্তী থানায় ফোন করে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। |