|
|
|
|
বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি, নিহত টাটা কর্তা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
২৩ ফেব্রুয়ারি |
নিজের বাংলোর সামনে গাড়ি থেকে নামতেই টাটা মোটরসের উচ্চপদস্থ ওই কর্তাকে ঘিরে ধরেছিল সশস্ত্র দুই আততায়ী। তাঁর বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক’ দুরত্ব থেকে পর পর তিনটি গুলি চালায় এক জন। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বছর আটত্রিশের ওই ব্যক্তি। কাজ হাসিল করেই পালায় দুষ্কৃতীরা।
শনিবার রাতে পরপর গুলির আওয়াজে ততক্ষণে তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়েছে জামশেদপুরের টেলকো এলাকায়। পুলিশ
|
ব্রজেশ সহায় |
জানায়, হামলার কিছু ক্ষণ পর গুলিবিদ্ধ ব্রজেশ সহায়কে (৩৮) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তদন্তে অনুমান, পুরনো শত্রুতায় ঘটনাটি ঘটেছে। আততায়ী খোঁজে জামশেদপুরে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পূর্ব সিংভূমের এসএসপি অমলবেনুকান্ত হোমকর বলেন, “অপরাধীরা ধরা পড়বে।”
টাটা মোটরসের ড্রাইভ-লাইন বিভাগের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন ব্রজেশ। শনিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি টেলকোর নীলডিহি কলোনির দলমা রোডের ১৮ নম্বর বাংলোয় ফেরেন। নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সদর দরজার সামনে গাড়ি থামিয়ে বাড়ির কেয়ারটেকারকে ডাকেন ব্রজেশ। গাড়ি থেকে নামতেই সশস্ত্র দুই দুষ্কৃতী ঘিরে ধরে। তদন্তকারীদের দাবি, হামলার ছক আগেই কষেছিল দুষ্কৃতীরা।
কয়েক মাসের মধ্যে পর পর কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটলো জামশেদপুরে। এর আগে, গোলমুড়িতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ব্যবসায়ী বিনোদ অগ্রবালের। মানগো এলাকায় আততায়ীদের বোমায় প্রাণ হারান ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পূর্ব সিংভূমের সহ-সভাপতি লখাই হাঁসদা।
এ দিকে, গতকালের ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন নিহতের সহকর্মীরা। টেলকো ওয়াকার্স সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রভান সিংহ বলেন, “পুরনো শত্রুতার জেরে হামলা হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ। কিন্তু ব্রজেশের সঙ্গে কারও গোলমাল থাকতে পারে বলে মনে করি না।” টাটা মোটরসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। ব্রজেশের খুনিদের গ্রেফতার করতে সংস্থার তরফে পুলিশের তদন্তে সব রকম সাহায্য করা হবে।
ব্রজেশের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী ও বছর চারেকের ছেলের সঙ্গে থাকতেন তিনি। নিহত ওই টাটা-কর্তার স্ত্রী শ্বেতা অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। স্থানীয় থানার এক অফিসার বলেছেন, ‘‘ব্রজেশের পরিবারের লোকজন এখন কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। নিহতের স্ত্রী’র সঙ্গে আমরাও তেমন ভাবে কথাবার্তা বলতে পারিনি।” আজই বিকেলে ব্রজেশের মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হয়। তাঁর পরিবার গোড়া থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিল যে, ময়না তদন্তের রিপোর্টও আজই দিতে হবে। তাতে প্রথমে রাজি হয়নি স্থানীয় পুলিশ। পরে উর্ধ্বতন কর্তাদের হস্তক্ষেপে আজই রিপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। |
|
|
|
|
|