গ্রামীণ হাসপাতালের দুরবস্থা দূর করতে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ার জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবে’র কাছে দাবি জানালেন এলাকার বাসিন্দারা। বাসিন্দারা জানান, ধূপগুড়ি শহর-সহ ব্লকে দুই লক্ষ বাসিন্দা একটি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। মাত্র ছয় জন চিকিৎসক গোটা হাসপাতাল সামলান। ৬২ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে শয্যার তুলনায় একে তো চিকিৎসক কম, তার উপর পরিকাঠামো বেহাল।
শুক্রবার এলাকার সমস্যা ও সরকার ধূপগুড়ি পুরসভার উন্নয়নমূলক কাজ নিয়ে কী ধরণের চিন্তাভাবনা করছে তা জানাতে পুরসভার উদ্যোগে কমিউনিটি হলে নাগরিক কনভেনশন হয়। কনভেনশনে এলাকার বাসিন্দারা পরিষেবা নিয়ে মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ তুলে ধরেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দেবাশিস দত্ত মন্ত্রীকে বলেন, “গ্রামীণ হাসপাতালে পরিষেবা মিলছে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগের পাশাপাশি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করা হলে মানুষ অনেক উপকৃত হবেন।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী অবশ্য বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।
পুরসভার মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে টানা তিন দফা এই পুরসভা সিপিএম-এর দখলে ছিল। গত ২০১২ সালে সিপিএম-এর থেকে পুরসভার দখল নেয় তৃণমূল। ক্ষমতায় এসে পুরসভাকে মডেল পুরসভা করা ছাড়াও নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন গৌতমবাবু। এদিন গৌতমবাবু শহরের রাস্তা ও নদীর বাঁধ তৈরি-সহ চারটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। গৌতমবাবু বলেন, “দুই বছরে ধূপগুড়ির নানা উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ৪১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। শহরের প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৩৯ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। এলাকায় পার্ক তৈরি ও নিয়ন্ত্রিত বাজার ঢেলে সাজা হবে।” শহর চিরে যাওয়া কুমলাই নদীর দূষণ ধূপগুড়ির পুরনো সমস্যা। ডাম্পিং গ্রাউন্ড না থাকায় শহরের সমস্ত আবর্জনা নদীর ধারে ফেলা হয়। কনভেনশনে তাঁরা মন্ত্রীর কাছে কুমলাইয়ের দূষণ দূর করার পাশাপাশি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ করেন। গৌতমবাবু বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। |