শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগকে সামনে রেখে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূলের দুই শিক্ষক সংগঠন। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৃণমূলের কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মার নামে মিথ্যা প্রচারের অভিযোগ তুললেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক তপন কুণ্ডু। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মুকুলকান্তি ঘোষ ভাল কাজ করছেন বলে চিঠি দিয়ে জানান তিনি। রঞ্জনবাবু বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মুকুলকান্তি ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক ডেকে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন শীলশর্মার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানান। তবে কি ব্যবস্থা নেবেন তা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন মুকুলবাবু। এ দিন তপনবাবু চিঠি দিয়ে বলেন, “রঞ্জনবাবু যে অভিযোগ এনেছেন তা সত্যি নয়। হিন্দি বই পাওয়া নিয়ে রঞ্জনবাবুর অভিযোগ অনেক পুরোনো। তা এই চেয়ারম্যান আসার আগেই হয়েছিল। রঞ্জনবাবুর আরও দায়িত্ব নিয়ে অভিযোগ আনা উচিত ছিল।” এ বিষয়ে রঞ্জনবাবু মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “যেটা সত্যি সেটাই বলেছি। কেউ যদি সেই কারণে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চান, সৎ সাহস থাকলে সেটা করে দেখান।” তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণের নিশানা বানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের পরামর্শ মতো আমি দায়িত্ব পালন করছি। আমি বেশ কিছু প্রচলিত অনিয়ম ভাঙার চেষ্টা করছি। যাঁদের স্বার্থে আঘাত লাগছে তাঁরাই আক্রমণ করছেন।”
প্রসঙ্গত, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত পরীক্ষা পিছোনোর পরেও শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তা সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাননি বলে অভিযোগ। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হয়রানির অভিযোগের বিষয় সামনে রেখে শিলিগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ চেয়ারম্যানের সমালোচনায় সরব হন তৃণমূল কাউন্সিলর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা রঞ্জনবাবু। |