শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বোমা ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। তবে সিপিএমের অভিযোগ, এ কাজ শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। বোমার আঘাতে ওই দলীয় কার্যালয়ের সাটারে বড়-সড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে টিনের ছাদের একটা অংশও। শুক্রবার শহরে ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। খবর পেয়ে এ দিন সকালে তিনি ঘটনাস্থলে যান। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যও। বিমানবাবু বলেন, “এই ধরণের ঘটনা তৃণমূলের সংস্কৃতি।” এ ব্যাপারে মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সিপিএম। |
জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এ ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছে। তবে শাসকদলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে বোমা মারার কারণ হিসেবে পরে অশোকবাবুর ব্যাখ্যা, “স্থানীয় পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব নেই। তাই বোমাবাজি করে, স্থানীয় বাসিন্দাদের উপরে চাপ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। মানুষ আতঙ্কিত। আমরাও পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চাইছি।” তাঁর অভিযোগের পাল্টা দাজির্লিং জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেবের জবাব, “মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতি আমাদের দখলে। পঞ্চায়েতও আমরাই দখল করেছি। তারপরেও এলাকায় বোমাবাজি করতে যাব কেন?” তবে এই বোমা ছোড়ার পিছনে তৃণমূলই রয়েছে বলে মন্তব্য জেলা কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক পাথর্র্ সেনগুপ্তের। শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসি (পশ্চিম) অমিত সিংহ বলেছেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে।” |