বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে বাংলা ভাষার লেখক-মনীষীদের নামাঙ্কিত ভাষা স্মারক স্তম্ভ গড়ার কাজে সাহায্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকারি উদ্যোগে একুশে ফেব্রুয়ারি উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সব ভাষাকে শ্রদ্ধা জানাতে স্মারক গড়ার অঙ্গীকার করলেন। তিনি ঘোষণা করেন , রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গণে এই স্মারক গড়া হবে।
বক্তৃতায় মমতা একুশে ফেব্রুয়ারি তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মঞ্চকে রাজ্যের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের প্রতি মমত্ব প্রকাশের ক্ষেত্র হিসেবে তুলে ধরেন। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের কথায়-গানে ঘুরে-ফিরে আসছিল একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাসের বৃত্তান্ত। মুখ্যমন্ত্রীও তা মনে করিয়ে দিয়েই বলেন, “একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু দুই বাংলার ব্যাপার নয়! এই দিনটা সবার ভাষাকে ভালবাসা জানানোর, সম্মান জানানোর। সারা পৃথিবীতে এর গুরুত্ব রয়েছে।”
এই সূত্রেই এ দেশের ‘নানা ভাষা নানা মত’-এর সংস্কৃতি প্রসঙ্গে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। মনে করান, পশ্চিমবঙ্গে সাঁওতালি, গুরুমুখী, হিন্দি, উর্দু, রাজবংশী, নেপালি, লেপচাদের ভাষার সহাবস্থানের কথা। মমতা বলেন, “এ রাজ্যে সাঁওতালি, রাজবংশী ভাষারও অ্যাকাডেমি রয়েছে। যে অঞ্চলে ১০% মানুষ কোনও ভাষায় কথা বলেন, তাকেই দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়। সে ভাষায় পড়ার সুযোগ মেলে।”
তবে মহাশ্বেতা দেবীর বার্তায় এ রাজ্যে বাংলা ভাষার চর্চা নিম্নমুখী হওয়ার আক্ষেপ ফুটে উঠেছে। তিনি আসতে না-পারায় তাঁর লিখিত বার্তা পড়া হয়। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ও বলেন, “মাতৃভাষা রক্ষায় শুধু আবেগ নয়, অস্মিতাও জরুরি।” |