|
|
|
|
নয়াগ্রাম-সাঁকরাইল ফেয়ার ওয়েদার সেতু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
নয়াগ্রাম-সাঁকরাইল ফেয়ার ওয়েদার ব্রিজ।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল নয়াগ্রাম ও সাঁকরাইল ব্লকের সংযোগকারী ফেয়ার ওয়েদার সেতুর। শুক্রবার নয়াগ্রামের বড়খাঁকড়ির দেউলবাড় এলাকায় সুবর্ণরেখার উপর ওই সেতুটির উদ্বোধন করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সমায় মাণ্ডি। ছিলেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, নয়াগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মনোরমা পাত্র। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি আশ্বাস দেন, ওই সেতু থেকে সাঁকরাইল হয়ে মেদিনীপুর-খড়্গপুর যাওয়ার রাস্তাটি শীঘ্রই সংস্কার করা হবে। অনুষ্ঠানে ফেয়ার ওয়েদার সেতুটি আগামী দিনে কংক্রিটের করার দাবি উঠলে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবেবলে জানান জেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। |
|
নয়াগ্রাম ও সাঁকরাইল ব্লকের মধ্যে সরাসরি সংযোগকারী স্থায়ী ও অস্থায়ী কোনও সেতু এতদিন ছিল না। ফলে, ঘুরপথে যানবাহনে যাতায়াত করতে হতো। এ ছাড়া সাঁকরাইলের গড়ধরা ঘাট ও নয়াগ্রামের দেউলবাড় ঘাটের মধ্যে ডিঙিতে ও খানিকটা বালিয়াড়ি পথ হেঁটে যাতায়াত করতে হতো নিত্যযাত্রীদের। নতুন ফেয়ার ওয়েদার ব্রিজটি তৈরি হওয়ায় বর্ষাকাল বাদে বাকি সময় সহজে যাতায়াত করা যাবে। এর ফলে যানবাহনে নয়াগ্রাম থেকে সাঁকরাইল ব্লকের মধ্যে প্রায় ৭০-৮০ কিমি দূরত্ব কমে গেল। সাঁকরাইলের দিক থেকে নয়াগ্রাম হয়ে ওড়িশার যোগাযোগও সহজ হল।
এলাকাবাসীর দাবি মেনে মাস ছয়েক আগে, নয়াগ্রামের বিডিও তাপস ভট্টাচার্য যোগাযোগ করেন সাঁকরাইলের বিডিও সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। গত নভেম্বরে আলোচনার ভিত্তিতে দুই বিডিও যৌথ ভাবে প্রস্তাব পাঠান জেলা পরিষদের কাছে। জেলা পরিষদের পূর্ত স্থায়ী সমিতিতে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ডিসেম্বর মাসে কাজটি শুরু হয়। নদীর মাঝে ৮০ মিটার কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। উদ্বোধনের দু’সপ্তাহ আগেই অবশ্য সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। |
|
|
|
|
|