ফুটবলার জীবনে ডার্বি ম্যাচে ভাঙা হাত নিয়ে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে খেলার অভিজ্ঞতা ছিলই। অনূর্ধ্ব-১৯ আই লিগের ডার্বি ম্যাচে তাঁর সেই প্রস্তুতির কথাই ফুটবলারদের বলেছিলেন লাল-হলুদ কোচ তরুণ দে।
এ দিন ছোট মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লাল-হলুদ জুনিয়র ব্রিগেডের স্টপার ওয়াসিম আক্রম মল্লিক কোচ তরুণ দে-র সেই টিপস কাজে লাগিয়েই তাক লাগিয়ে দিলেন। কালীঘাট এমএসের বিরুদ্ধে বাঁ হাতে চোট পেয়েছিলেন ওয়াসিম। এ দিন সেই বাঁ হাত ভাঁজ করা অবস্থাতেই মহেশতলার ছেলে দাপটের সঙ্গে সামলালেন লাল-হলুদ রক্ষণ। ওয়াসিমের পাশে জিতেন মূর্মু, হীরা মণ্ডলরাও দাপুটে ফুটবল খেলে ২-০ উড়িয়ে দিল মোহনবাগানকে। |
ছোটদের বড় ম্যাচে হঠাৎ উত্তেজনা। |
এ দিন মাঠে হাজির দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার শেষ ছিল না। যুবভারতীতে চার্চিল ম্যাচের আগে কোচ করিম বেঞ্চারিফার সঙ্গে কিছুক্ষণ ম্যাচ দেখে যান কাতসুমি, ডেনসনরাও। তবে সিনিয়রদের উপস্থিতি তাতাতে পারল না সবুজ-মেরুনের ছোটদের। ৩২ মিনিটে বক্সের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ফরোয়ার্ড জিতেনকে বাগানের সুমন হাজরা ফাউল করলে রেফারি রঞ্জিত বক্সী পেনাল্টির নির্দেশ দেন। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে দেন হীরা। দ্বিতীয়ার্ধে মোহনবাগান খেলা ধরলেও ৭৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান জিতেন। তবে ২-০ হওয়ার পর বাগানের মালসোয়ামকিমা লাল কার্ড দেখায় শেষ বারো মিনিট দশ জনে খেলতে হয় সবুজ-মেরুনকে।
ম্যাচের পর সবুজ-মেরুনের পরিবেশ আরও তেতো করে দেন কিছু ক্লাব সমর্থক। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা যখন মাঠে নেমে জয় সেলিব্রেট করছিলেন, তখন গালিগালাজ করতে করতে তাঁদের দিকে তেড়ে যান উগ্র সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। বাগানের শীর্ষ কর্তাদের কেউ না থাকায় দুই ছোট কর্তা শেষমেশ আসরে নামতে বাধ্য হন। পরে ঘোড়সওয়ার পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করলেও গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ লাল-হলুদ শিবির। বিষয়টি তারা ফেডারেশনকে জানিয়েছে। |
ম্যাচ জিতে লাল-হলুদ জুনিয়ররা। শুক্রবার। |
অন্য ম্যাচে এ দিন ভবানীপুরকে ৪-১ হারিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে একই পয়েন্টে দাঁড়িয়ে রইল ইউনাইটেড স্পোর্টস। চার ম্যাচের পর দু’দলেরই পয়েন্ট এখন ১০। তবে ইস্টবেঙ্গলের (৫) চেয়ে গোল পার্থক্যে এগিয়ে ইউনাইটেড (৭)। লাল-হলুদ কোচ তরুণ দে বলছেন, “ফিরতি পর্বটাই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু কলকাতা থেকে একটা দল মূলপর্বে যাবে, তাই জয়ের সঙ্গে গোলপার্থক্যও মাথায় রাখতে হবে।” ২৫ ফেব্রুয়ারি ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ মহমেডানের বিরুদ্ধে।
|