|
|
|
|
মেদিনীপুর পুরসভা |
কংগ্রেসের ঘর ভেঙে তিন কাউন্সিলর গেলেন তৃণমূলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান চলছিল। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হল মেদিনীপুরও। সদর শহরের তিনজন কংগ্রেস কাউন্সিলর শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। কলকাতায় গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে এঁরা দলবদল করেন। এর ফলে, শহর মেদিনীপুরে শাসক দলের কাউন্সিলর সংখ্যা ১৩ থেকে বেড়ে হল ১৬। দলের তিনজন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর শহর কংগ্রেস সভাপতি তথা কাউন্সিলর সৌমেন খানের প্রতিক্রিয়া, “তিনজন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে শুনেছি। ভাল বুঝেছেন, তাই গিয়েছেন!” কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে বাম-শিবির থেকে। সদর শহরের প্রাক্তন পুরপ্রধান, বামজোটের সহযোগী মেদিনীপুর বিকাশ পরিষদের আহ্বায়ক তথা কাউন্সিলর নাজিম আহমেদ বলেন, “এত দিন রাজ্যের অন্যত্র কেনাবেচা চলছিল। এ বার মেদিনীপুরেও শুরু হল! ” তাঁর কথায়, “এক দলের প্রতীকে জিতে অন্য দলে চলে যাওয়া প্রতারণারই সমান।”
গত বছরের ২২ নভেম্বর মেদিনীপুরে পুরভোট হয়। ২৫ নভেম্বর ফল বেরোয়। ১৬ ডিসেম্বর পুরবোর্ড গঠন হয়। দ্বিতীয়বারের জন্য পুরপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন তৃণমূলের প্রণব বসু। উপপুরপ্রধান হন জিতেন্দ্রনাথ দাস। সদর শহরে ২৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। এ বারের নির্বাচনে এরমধ্যে ১৩টি ওয়ার্ড দখল করে তৃণমূল। ৬টি কংগ্রেস। ১টি নির্দলের দখলে যায়। বাকি ৫টি বাম-শিবির। পরিস্থিতি দেখে গোড়া থেকেই দল ভাঙাতে তৎপর হয়েছিল তৃণমূল। নির্দল কাউন্সিলর অবশ্য তৃণমূল পুরবোর্ডের পাশে ছিলেন। পুরভোটের পরপরই একাধিক কংগ্রেস কাউন্সিলরের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। গেল ডিসেম্বরে মেদিনীপুরে এসে এক প্রশ্নের উত্তরে সেই জল্পনা আরও উস্কে দেন মুকুল রায়। তিনি জানান, ‘কয়েক’জন কাউন্সিলর যোগাযোগ করেছেন। প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে।’ তখন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য জানান, দলের কোনও কাউন্সিলর দলবদল করতে চলেছেন বলে তাঁদের কাছে কোনও খবর নেই। মণিলাল দাস, হিমাংশু মাইতি এবং রোকাইয়া খাতুন-এই তিন কংগ্রেস কাউন্সিলরই এ দিন কলকাতায় গিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগদান করেন। শুধু মেদিনীপুর নয়, এ দিন ঘাটলের ২১ জন নেতাকর্মীও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ঘাটাল শহরের দীপক ঘোষাল, অনন্ত দোলুই প্রমুখ। |
|
|
|
|
|