|
|
|
|
প্রতিবেশী গৃহবধূকে ‘মার’, ধৃত কনস্টেবল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রতিবেশী এক গৃহবধূকে মারধর, শ্লীলতাহানি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের এক কনস্টেবল গ্রেফতার হল। ধৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় দাস। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বালির নিমতলায়। ওই মহিলা বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি।
পুলিশ জানায়, বালির নিমতলায় একটি ফ্ল্যাটে স্বামী, আট বছরের মেয়ে ও শ্বাশুড়ির সঙ্গে থাকেন ওই গৃহবধূ। ঘটনার রাতে ওই মহিলার স্বামী বাজারে গিয়েছিলেন। তাঁর ফিরতে দেরি হওয়ায় রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, স্বামীর সঙ্গে ফ্ল্যাটে ওঠার সময়ে পিছন থেকে তাঁকে ধাক্কা মারে মৃত্যুঞ্জয়। এর পরে তাঁকে জাপটে ধরে পেটে লাথি মারে। মহিলা পড়ে গেলে তাঁর হাতে-পায়ে অস্ত্র দিয়ে চিরে দেয়। ওই মহিলার স্বামী বলেন, “আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও ধাক্কা মেরে ফেলে দেন ওই কনস্টেবল। আমি চেঁচামেচি শুরু করলে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন।” পুলিশ জানায়, ওই মহিলার দুই হাত ও পা মিলিয়ে ১৫টি সেলাই করতে হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বছরখানেক আগে মৃতুঞ্জয়ের স্ত্রী আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। অভিযুক্তকে জেল খাটতে হয়েছিল। এর পর থেকেই দুই পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। এ দিন আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামী বলেন, “আমি ফ্ল্যাটের পরিচালন কমিটির সম্পাদক। তাই মৃত্যুঞ্জয়কে ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের বকেয়া টাকা শোধ করে দিতে বলি। তাতেই উনি রেগে যান। আমাকে শ্লীলতাহানির মামলায় ফাঁসিয়ে দেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার। তাদের দাবি, ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীই প্রথমে ওই কনস্টেবলের ফ্ল্যাটে ধাক্কাধাক্কি করে অশান্তি শুরু করে। ওই গৃহবধূকে আঘাত করেনি মৃত্যুঞ্জয়। বিষয়টি জানিয়ে তাঁরাও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই আক্রমণ। |
|
|
|
|
|