ধুবুরিতে প্রচার নেই
মামলা আসে না ক্রেতা আদালতে
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে ধুবুরির ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। গত বাইশ বছরে মামলা হয়েছে মাত্র ৬০০টি। এর মধ্যে রায়দান হয়েছে ৫৪৯টির। ৫১টি চলছে। ধুবুরি জেলা ও দায়রা আদালতের একটা কক্ষে প্রতি সপ্তাহে সোম ও মঙ্গলবার আদালত বসে। এ ভাবেই চলছে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। কারণ, এক দিকে প্রশাসনের পরিকাঠামোর অভাব, অন্য দিকে সে ভাবে প্রচার না হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব।
ধুবুরি ডিস্ট্রিক কনজিউমার ডিসপুট রিড্রেসাল ফোরামের সভাপতি হলেন ধুবুরি জেলা ও দায়রা আদালত বিচারক আলোকেশ ভট্টাচার্য। ফোরামের দুই সদস্য পার্থপ্রতিম দাস এবং জুঁই দাস। জুঁই দাস জানান, “ক্রেতা হিসেবে কেউ যদি মনে করেন তিনি কোনও ভাবে প্রতারিত হয়েছেন তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করতে পারেন। আবেদনকারীরা প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে নিজে আদালতে সওয়াল-জবাবও করতে পারেন। এটা এত সহজ হওয়া সত্ত্বেও সচেতনতার অভাবে প্রতারিত ক্রেতারা আদালতে আসতে চান না। তবে মামলা কম হলেও যারা মামলা করে আদালতের রায় পেয়েছেন, তাঁরা ভর্তুকি পেয়ে গিয়েছেন তাড়াতাড়ি।”
যাঁরা প্রতারিত হয়ে ধুবুরির ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেছেন, তাঁদের এক জন ধুবুরির গৃহবধূ বিদিশা বড়ুয়া। বিদিশা ২০০৯ সালে তাঁর স্বামীর জীবন বিমা করিয়েছিলেন এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। ওই বছর ২৩ ডিসেম্বর পথ দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর ওই ব্যাঙ্কে বিমার টাকা তুলতে গিয়ে নানা হয়রানি মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি ধুবুরির ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেন তিনি। তিন বছর মামলা চলার পর ২০১৩-র ৪ নভেম্বর ওই ব্যাঙ্ককে আদালত নির্দেশ দেয় বিদিশা দেবীকে তাঁর স্বামীর জীবন বিমার টাকা এবং আদালত খরচ, ৬ শতাংশ সুদ সমেত মোট ৪ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৬৮ টাকা দিয়ে দিতে। বিদিশা বলেন, “আমি হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। সময় লাগলেও পাওনা পুরো টাকাই পেয়ে গিয়েছি।”
সচেতনতার অভাবেই প্রতারিতরা যে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে আসছেন না, তা মেনে নিয়েছেন ফোরাম-সদস্য পার্থপ্রতিম দাস। তিনি বলেন, “জন সচেতনতা বৃদ্ধির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা খাদ্য ও অসামরিক বিভাগকে। কিন্তু তারা যে কী করছে বুঝতে পারছি না।” জেলা খাদ্য ও অসামরিক বিভাগ আধিকর্তা হিরণ্য গোস্বামী বলেছেন, “সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকে প্রচার করার পাশাপাশি প্রচার-পত্র বিলি করা হয়। ক্রেতাদের নিয়ে সভা করি। কিন্তু তাতেও ভাল সাড়া পাচ্ছি না।”
দোকানে চুরি। দোকানের সাটার ভেঙে লক্ষাধিক টাকার সিগারেট চুরি করে পালিয়ে গিয়েছে এক দল দুষ্কৃতী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ধুবুরি শহর এলাকার চরমেইন রোডে এই ঘটনাটি ঘযেটছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাতে এলাকার একটি সিগারেটের পাইকারি দোকানে সাটার ভেঙে ঢুকে দুষ্কৃতীরা ৩৫ কার্টুন সিগারেট নিয়ে পালায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.