শুক্রবার শেষ হল পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ। এক সপ্তাহ জুড়ে নানা ভাবে পথচারী এবং যানচালকদের সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার পরেও যে সচেতনতার অভাব রয়ে গিয়েছে তা বোঝা যায় ঢাকুরিয়া সেতুর মুখে এলে। কাছেই বাসস্টপ থাকা সত্ত্বেও সেতুর মুখেই বিপজ্জনক ভাবে বাসে ওঠানামা করেন যাত্রীদের একাংশ। বেশ কয়েক বার কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ এ ভাবে বাসে ওঠানামা বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতি দিন অনেক যাত্রী ঢাকুরিয়া স্টেশনে নামেন। এর পরে তাঁদের বড় অংশ বাস ধরার জন্য ঢাকুরিয়া সেতুর মুখে এসে দাঁড়ান। কিন্তু কাছেই বাস দাঁড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে।
কেন এমন করেন যাত্রীরা? |
কাছেই বাসস্টপ। অথচ ঢাকুরিয়া সেতুর মুখে বাস থামিয়ে চলে ওঠানামা। নিজস্ব চিত্র। |
এই পথেই নিয়মিত পার্ক স্ট্রিটের অফিসে যাতায়াত করেন সোনারপুরের বাসিন্দা স্নেহাশিস রায়। এ ভাবে বাসে ওঠানামা যে বিপজ্জনক তা স্বীকার করে তিনি বলেন, “বাসস্ট্যান্ডে যেতে সময় লাগে। অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে। তাই সেতুর মুখে দাঁড়িয়েই বাস ধরি।” একই যুক্তি বারুইপুরের সুকন্যা সেন, জয়নগরের বাবু আলিরও।
এ ভাবে সেতুর মুখে বাসে ওঠানামা করতে গিয়ে যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কয়েকটি ছোটোখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছে। নির্দিষ্ট জায়গায় বাস দাঁড় না করালে ট্রাফিক আইন অনুসারে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তার পরেও দিনের পর দিন এই অবস্থা চলছে কী ভাবে? প্রশ্নের উত্তরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মী বলেন, ‘‘এই কাজের জন্য অনেক বার জরিমানা করা হয়েছে। তার পরেও যে-কে-সেই।’’
যাত্রীদের দাঁড়ানো বন্ধ করতে ওই জায়গায় রেলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ নানা ভাবে যাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছে। তার পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কর্তাদের মতে যাত্রীরা সচেতন না হলে এই সমস্যার সুরাহা করা কঠিন। কলকাতা পুলিশের ডিসি ট্রাফিক দিলীপ আদক বলেন, ‘‘ট্রাফিক কর্মীরা ওই জায়গায় নজর রাখেন। কিন্তু যাত্রীরা সচেতন না হলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। তাই এ বার নিয়ম ভাঙলে আমরা যাত্রীদের জরিমানা করতে বাধ্য হব।” |