বেশির ভাগ ত্রিফলা বাতিস্তম্ভেই আলো জ্বলে না। কোথাও আলোই নেই। কোথাও ত্রিফলাই ভেঙে গিয়েছে। আবার কোথাও পুরো বাতিস্তম্ভটাই রাস্তায় ভেঙে পড়ে আছে। ছবিগুলি উল্টোডাঙা থেকে ভিআইপি রোড বরাবর রাস্তার দু’পাশের।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ভিআইপি রোডে নানা রকম সৌর্ন্দযায়নের কাজ চলছে। চলছে উড়ালপুল, আন্ডারপাস তৈরির কাজ। কিন্তু হতশ্রী অবস্থায় পড়ে রয়েছে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি। দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই ত্রিফলাগুলি লাগানো হয়েছিল। এগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা ছিল পুরসভারই। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারপার্সন তৃণমূলের অঞ্জনা রক্ষিত বলেন, “রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।
কিন্তু বার বার আলো চুরি হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে দু’বার ত্রিফলায় আলো লাগানো হয়েছে।” |
সংস্কারের পরে টালি নালার পাড়। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল। |
টালিগঞ্জ ব্রিজের কাছে টালি নালার ধারে প্রায় ২০০ মিটার রাস্তার সংস্কার করেছে সেচ দফতর। টালি নালার পাড় বরাবর রেলিং বসানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে আলো এবং গাছ। রয়েছে বসার জায়গাও। একটি ছোট ঘরও তৈরি করা হয়েছে। ছোটখাটো অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাসিন্দারা এই ঘর ব্যবহার করতে পারবেন। রাজ্য সেচ দফতরের উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
অনেক দিন আগেই টালি নালার ধারের এই অংশে রাস্তাটিতে ভাঙন ধরেছিল। সমস্যা ছিল আলোরও। বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন এই অংশটির সংস্কারের দাবি করছিলেন। সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “টালি নালার ধারে কালীঘাট থেকে শুরু করে প্রায় তিন কিলোমিটারের অংশের সংস্কার হবে। ইতিমধ্যে আমরা এই কাজ শুরু করেছি।” এই প্রকল্পের জন্য সেচ দফতর প্রায় সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের মমতা মজুমদার বিষয়টি সেচ দফতরকে জানিয়েছিলেন। উদ্যোগী হয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
সেচ দফতরের এক আধিকারিক জানান, টালি নালায় পলি জমায় অল্প বৃষ্টিতেই জল উপচে যেত। দীর্ঘ দিন জল আটকে থেকে মশার উৎপাত বাড়ত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে টালি নালার আমূল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। পলি তোলা ছাড়াও, টালি নালার পাড়ের সংস্কারের কথাও ভাবা হয়। কয়েকটি পার্ক তৈরি করার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু জায়গার অভাবে পার্ক তৈরি করা যাচ্ছে না।
রাজীববাবু জানান, কেপি রায় লেনে টালি নালার পাড় বাঁধানোর পাশাপাশি রাস্তা সংস্কার হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলর এ প্রকল্পে সহায়তা করেন। টালি নালার ধারে জায়গাটি সেচ দফতরের হলেও রাস্তাটির রক্ষণাবেক্ষণ করত পুরসভা। ফলে রাস্তা নিয়ে পুরসভা এবং সেচ দফতরের চাপান-উতোর ছিল। সেচ দফতরের বক্তব্য, পুরসভার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে সিদ্ধান্ত হয়, পাড় সংস্কারের সময়ে রাস্তা সারানো হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার উন্নতি হয়েছে। তবে এখানে একটি পার্ক থাকলে ভাল হত। মমতাদেবী বলেন, “ওয়ার্ডের এই অংশের রাস্তা-সহ সামগ্রিক উন্নয়নের প্রয়োজন ছিল। সেচ দফতরকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। স্থানীয় বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হন। তবে জায়গার অভাবে পার্ক তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।” |