বেশির ভাগ ত্রিফলা বাতিস্তম্ভেই আলো জ্বলে না। কোথাও আলোই নেই। কোথাও ত্রিফলাই ভেঙে গিয়েছে। আবার কোথাও পুরো বাতিস্তম্ভটাই রাস্তায় ভেঙে পড়ে আছে। ছবিগুলি উল্টোডাঙা থেকে ভিআইপি রোড বরাবর রাস্তার দু’পাশের।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ভিআইপি রোডে নানা রকম সৌর্ন্দযায়নের কাজ চলছে। চলছে উড়ালপুল, আন্ডারপাস তৈরির কাজ। কিন্তু হতশ্রী অবস্থায় পড়ে রয়েছে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি। দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই ত্রিফলাগুলি লাগানো হয়েছিল। এগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা ছিল পুরসভারই। দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারপার্সন তৃণমূলের অঞ্জনা রক্ষিত বলেন, “রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।
কিন্তু বার বার আলো চুরি হয়ে যাচ্ছে। এই নিয়ে দু’বার ত্রিফলায় আলো লাগানো হয়েছে।” |
এমনই দশা ত্রিফলার। —নিজস্ব চিত্র। |
কলকাতা শহরের অন্যতম প্রবেশপথ ভিআইপি রোড। সেখানে ত্রিফলাগুলির এই হতশ্রী চেহারা যথেষ্টই বেমানান বলে এলাকাবাসীরা মনে করেন। লেকটাউনের বাসিন্দা অরিন্দম বসুর অভিযোগ, “যে ত্রিফলাগুলি উপড়ে গিয়েছে সেগুলো পুরসভা কেন দ্রুত সরিয়ে ফেলছে না? দীর্ঘ দিন ধরে এ ভাবে পড়ে থাকলে ত্রিফলাই গায়েব হয়ে যাবে।” ভিআইপি রোডের কেষ্টপুর খালের দিকের ত্রিফলাগুলির অবস্থা বেশি খারাপ। বেশিরভাগ ত্রিফলারই আলো চুরি গিয়েছে। খালধার বরাবর জায়গাটি বেশ নির্জন। এ দিকের ত্রিফলার আলোগুলিই বেশি চুরি হয়েছে। যদিও বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তার দাবি, “রাতে ভিআইপি রোডে টহলদারির সময় বেশ কয়েক বার চোরদের হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে।” কিছু ত্রিফলা আবার গাড়ির ধাক্কায় ভেঙে গিয়েছে। তবে ভেঙে যাওয়া ত্রিফলাগুলি দ্রুত সারানোর আশ্বাস দিয়েছেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার আধিকারিকরা। অঞ্জনাদেবী বলেন, “দ্রুত ত্রিফলাগুলি সারিয়ে ফেলা হবে।” |