কথা ছিল পুজোর পরে কাজ শুরু হবে। কিন্তু শুরু হতে হতে বছর গড়িয়ে গেল। সল্টলেকের রাস্তা সংস্কারে গড়িমসি নিয়ে বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষের যুক্তি, প্রথমে প্রধান রাস্তাগুলি সারানো হচ্ছে। পরে বাকিগুলির সংস্কার হবে। তবে যে গতিতে এবং প্রক্রিয়ায় কাজ হচ্ছে তাতে রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরসভার দাবি, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ম্যাস্টিক অ্যাসফল্টের হবে।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, রাস্তা সংস্কারের জন্য রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর থেকে ১৩ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া পুরসভা নিজের তহবিল থেকে আট কোটি টাকা খরচ করছে। এই ২১ কোটি টাকায় প্রথমে যে সব রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি সেই রাস্তাগুলিতে কাজ হচ্ছে। এর পরে বাকি রাস্তাগুলির কাজে হাত দেওয়া হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধারে রাস্তাগুলির অবস্থা খারাপ। যাতায়াতে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সৌমিত্র বসাক বলেন, “নিজের গাড়িতে যাচ্ছিলাম। আইল্যান্ডের কাছে বড় গর্ত ছিল। গাড়ির চাকা গর্তে পড়ায় গাড়ি এতটাই লাফিয়ে ওঠে যে মাথায় চোট পাই।” |
চলছে রাস্তা সংস্কার। ছবি: শৌভিক দে। |
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, আগে রাস্তাগুলির দায়সারা ভাবে মেরামতি করা হয়েছিল। তাই কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তা খারাপ হয়ে যায়। তা ছাড়া অনেকগুলি রাস্তার ঢাল ঠিক নেই। তাই বর্ষায় বাড়িতে জল ঢুকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা অমিত দাস বলেন, “একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার জল বাড়িতে ঢুকে যায়। রাস্তা সংস্কার হলেও এ সমস্যার সমাধান হবে কি?” তাঁদের দাবি, এ বার রাস্তা মেরামতির সময়ে যেন এ বিষয়গুলিতেও নজর দেওয়া হয়। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যে ভাবে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে তাতে কিছু দিনের মধ্যেই আবার রাস্তা ভাঙবে। যদিও বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন পারিষদ (পূর্ত) অনুপম দত্ত বলে, ‘‘১৩ কোটি টাকা খরচ করে রাস্তাগুলি ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট করা হচ্ছে। এতে রাস্তা দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। প্রথমে প্রধান রাস্তাগুলির সংস্কার করা হচ্ছে। পরে বাকি রাস্তার কাজ হবে।” সল্টলেকের বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “রাস্তা সংস্কার হচ্ছে এটা ভাল। তবে রক্ষণাবেক্ষণ ঠিক ভাবে হওয়া উচিত। পরে রাস্তা ভাঙলেও তা যেন তাড়াতাড়ি সারানো হয়।” রাজ্যের পূর্ত ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, ‘‘বিধাননগরের জন্য বরাদ্দ অর্থ দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের সংস্কারের জন্য পুরসভাকেও আয় বাড়ানোর কথা ভাবতে হবে।’’ |