সম্পত্তি নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে জখম হলেন একই পরিবারের তিন জন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কালনা ১ ব্লকের হরিদেবপুর পঞ্চায়েতের নতুনচর গ্রামের ঘটনা। তাঁদের কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জখম রফিকুল শেখ, তাঁর স্ত্রী সহি বিবি ও মা সিদ্দি বিবির দাবি, ২০০০ সালে তাদের পরিবার একটি ১২ কাঠা জমি কেনে। সেই জমিতেই তাঁদের বসতবাড়ি। কিন্তু বছর খানেক ধরে গ্রামের সালাম শেখ ও সাজাহান শেখ নামে দুই যুবক কাঠা দুয়েক জমি দখল করার চেষ্টা করে বলে তাদের অভিযোগ। এই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই অভিযোগে একটা মামলাও দায়ের করেন তাঁরা। রফিকুলের দাবি, “মামলা করার পরেই ওদের রাগ আরও বেড়ে যায়। মঙ্গলবার ওদের নেতৃত্বে একদল লোক আমাদের মেরে তাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়, চারটে তাঁতও ভাঙচুর করে।” রফিকুলের কাকা ঔরঙ্গজেব শেখ জানান, শুক্রবার পঞ্চায়েতে বিষয়টি আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ওরা এলেও দ্রুত ফিরে যায়। পরে গ্রামে গিয়ে বড় ভাইপো-সহ কয়েকজনকে মারধর করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগও করেছেন তাঁরা। কালনা শহরের বিজেপি নেতা সুশান্ত পাণ্ডে বলেন, “সহি বিবি পঞ্চায়েতে আমাদের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। এ দিন তাঁকে বেধড়ক মারা হয়েছে। পুলিশকে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
জেলায় কিষান ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা বাড়াতে প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে প্রচারের উদ্যোগ নিল বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলা কৃষি করণ থেকে মহকুমা কৃষি দফতরে এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকাও এসেছে। নির্দেশিকাটি ব্লক কৃষি দফতরেও পাঠিয়ে দিয়েছে মহকুমা কৃষি দফতর। সম্প্রতি জেলা পর্যায়ে ব্যাঙ্কার্স কমিটির একটি বৈঠক হয়। সেখানেই জেলাশাসকের উপস্থিতিতে কিষান কার্ডের প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঠিক হয়, জেলার সমস্ত ব্লকে ভ্রাম্যমাণ কিষান ক্রেডিট কার্ড ক্যাম্প করা হবে। ব্লক কৃষি আধিকারিকদের একটি গাড়িকে ওই কার্ডের নানা তথ্য, ব্যনার, ফেস্টুন দিয়ে সাজাতে বলা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গাড়িগুলিকে গ্রাম সংসদগুলিতে ঘোরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কালনা মহকুমা কৃষি আধিকারিক আশিসকুমার বারুই জানান, সোমবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ফলে প্রচারের গাড়িগুলিতে মাইক থাকবে না। প্রচারে গ্রামবাসীদের জানানো হবে, ওই কার্ড থেকে তাঁরা কী কী সুবিধা পাবেন। নতুন কার্ডের জন্য ফর্মও বিলি করা হবে। প্রসঙ্গত, ব্লক কৃষি দফতরে অথবা বিশেষ শিবির হলে সেখান থেকেও ওই ফর্ম পাওয়া যায়। ফর্ম পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ কাছাকাছি ব্যাঙ্কে জমা দিতে হয়। ব্যাঙ্ক নথি খতিয়ে দেখে চাষির হাতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড তুলে দেয়। জেলা কৃষি দফতরের এক কর্তার কথায়, কৃষি প্রযুক্তি দফতরে কর্মীর অভাব রয়েছে। ফলে ধারাবাহিক ক্যাম্প করা মুশকিল। তবে এতে অনেকে উপকার পাবেন।
|
বর্ধমানের কেতুগ্রামে ন্যারোগেজ লাইনের ট্রেন থেকে নামিয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের মামলায় ফরেন্সিক রিপোর্ট আদালতে জমা পড়লেও সেটির খোঁজ মিলছে না। সোমবারের মধ্যে তাঁর এজলাসে সেটি জমা দেওয়ার জন্য কাটোয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতকে নির্দেশ (নম্বর ৩৬, ১১/২/২০১৪) দিয়েছেন ফাস্ট ট্র্যাক বিচারক পরেশচন্দ্র কর্মকার। এর আগে সময় চেয়েও পেশকার সেটি জমা দিতে পারেননি। রিপোর্টটি খুঁজে না পাওয়া গেলে মামলা বিলম্বিত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগকারিণী বলেন, “আইনের মারপ্যাঁচ বুঝি না। আমরা চাই, দ্রুত বিচার শেষ করে শয়তানগুলোকে শাস্তি দেওয়া হোক।” ২০১২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাটোয়ামুখী আমোদপুর-কাটোয়া ন্যারোগেজ লাইনে লুঠপাটের সময়ে মেয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বিধবা মাকে নামিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্তদের দেহরস এবং জামাকাপড় থেকে সংগৃহীত নমুনা বেলগাছিয়ায় ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল। জিআরপি জানিয়েছে, রিপোর্টটি তারা যথাসময়ে আদালতে জমা করেছিল। |