রাজ্যে গবেষণার মান কমছেএই আক্ষেপই শোনা গেল ২১তম রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কংগ্রেসে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগে রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কংগ্রেসের প্রধান অতিথি ছিলেন বিকাশ সিংহ। তাঁর আক্ষেপ,“বাংলার বিজ্ঞান গবেষণার মান খুবই কমে গিয়েছে। গবেষণা করতে খুব কম ছাত্রছাত্রীই এগিয়ে আসছেন। যাঁরা আসছেন, তাঁরাও উপযুক্ত সম্মান পাচ্ছেন না। তাঁর মধ্যে যাঁরা সামান্য প্রতিভার পরিচয় দিচ্ছেন, তাঁরা বিদেশে চলে যাচ্ছেন।”
উপস্থিত গবেষকদের মধ্যে দেবেন্দ্রনাথ গুহ মজুমদার জানান, রাজ্যের মধ্যে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, ও বর্ধমানের কিছু এলাকায় আর্সেনিক দূষণের মাত্রা বেশি। হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতার কয়েকটি অঞ্চলেও পানীয় জলে আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে।
তিনি বলেন, “যে এলাকায় ভূগর্ভের ৮০ থেকে ১২০ ফুটের মধ্যে থাকা জল পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেই এলাকাতেই আর্সেনিক বেশি পরিমাণে দেখা যাচ্ছে।”
এই বিজ্ঞান কংগ্রেসে মোট ৪০০টি গবেষণাপত্র পাঠ করা হয়। বিজ্ঞানী গোপাল ভট্টাচার্য ও মেঘনাথ সাহা স্মৃতি পুরষ্কার পান যথাক্রমে কুষ্ঠরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভৈরবচন্দ্র মণ্ডল ও পার্থসারথী চক্রবর্তী। বিজ্ঞান কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বর্ধমানের গোলাপবাগে একটি বিজ্ঞান কেন্দ্র গড়া হবে। এই কেন্দ্রের জন্যে জায়গা দিতে উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার রাজি হয়েছেন।” উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার বলেন, “গবেষণার কাজকে জনমুখী করে এই কাজে তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করা হবে।” |