দক্ষিণ কলকাতা: গড়িয়া, সোনারপুর
মুক্তি কবে
যন্ত্রণার যাতায়াত
বাবার অসুস্থতার জন্য কাজ ফেলে ওয়াশিংটন থেকে ছুটে এসেছেন নয়াবাদের বাসিন্দা অম্বর মিত্র। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে ছোটাছুটির জন্য বাড়ি থেকে গাড়ি বার করতেই পারেননি তিনি। কারণ, রাস্তা বেহাল। ঢালুয়া, পাঁচপোতা, গমকল গলি, নয়াবাদ, শ্রীনগর এলাকার প্রধান রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল। বাসিন্দাদের ক্ষোভ, সংশ্লিষ্ট মহলে বার বার আবেদন জানালেও সারানোর কোনও ব্যবস্থা হয়নি।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১ এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানায় এই রাস্তার অবস্থান। এই রাস্তাটিই গড়িয়া স্টেশন এবং ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন এলাকার এই প্রধান রাস্তাটি এবং ভিতরের রাস্তাগুলি সারাইয়ের কোনও কাজ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা পল্লব মজুমদারের কথায়: “গড়িয়া স্টেশন থেকে কোনও রিকশা ঢালুয়া, পাঁচপোতা, গমকল গলি, নয়াবাদ, শ্রীনগরের ভিতরে যেতে চায় না। রাস্তার এমন হাল যে হাঁটারও উপায় নেই। দ্বিগুণ ভাড়া দিতে চাইলেও এলাকার ভিতরে কোনও রিকশাচালক আসতে চান না।”
বাসিন্দাদের ক্ষোভের আঁচ টের পেয়ে তড়িঘড়ি রাস্তা সারাইয়ের ব্যবস্থা শুরু করেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এত দিন ফেলে রেখে ভরা বর্ষায় রাস্তা সারাইয়ের কাজ করা হচ্ছে কেন? তাঁদের আশঙ্কা, বর্ষায় সারাইয়ের কাজ হলে, কয়েক মাসের মধ্যেই ফের রাস্তার হাল খারাপ হয়ে যাবে।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান সিপিআইয়ের তড়িৎ চক্রবর্তী বলেন, “ওই এলাকায় একটি মাত্র রাস্তা আমার ওয়ার্ডের মধ্যে রয়েছে। কয়েক মাস আগে যখন নিকাশি সংস্কারের কাজ হয় তখন রাস্তাও সারানো হয়েছিল।”
দু’নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং চেয়ারম্যান পারিষদ তৃণমূলের বিভাস মুখোপাধ্যায়ের কথায়: “আমার ওয়ার্ডে যে সব রাস্তা খারাপ ছিল সেগুলো কয়েক মাস আগেই সারানো হয়। নতুন করে কয়েকটি রাস্তার কিছু অংশ ফের খারাপ হয়েছে। তা সারাইয়ের কাজও শুরু হয়েছে।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর বর্ষায় রাস্তার এমন হাল হয় যে বাড়ি থেকে গাড়ি বার করা যায় না, কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি পর্যন্ত গাড়ি আনা যায় না। নিত্য দিন কাদা ঠেলে হাঁটা এখানে দস্তুর হয়ে উঠেছে। শুধু বর্ষাতেই নয় সারা বছরই খন্দপথ দিয়ে চলাচল করতে হয় বাসিন্দাদের।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার পূর্ত বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদ তৃণমূলের কার্তিক বিশ্বাস বলেন, “খোঁজ নেব। তার পরে নির্দিষ্ট রাস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ করে সারাইয়ের ব্যবস্থা করা হবে।”

ছবি: সুব্রত রায়




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.