জানুয়ারি থেকে জুলাই— সাত মাসে ২০ জনের শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে দাবি পুর-প্রশাসনের। অথচ গত বছর ওই সময়ের মধ্যে শ’চারেক মানুষের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছিল। বুধবার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ এই তথ্য দিয়ে বলেন, “শুরু থেকে ব্যবস্থা নেওয়ায় চলতি বছরে শহরে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ কমানো সম্ভব হয়েছে।” গত বছর অতিরিক্ত মাত্রায় ডেঙ্গি ছড়ানোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, এ বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গি রোধে বিশেষ ভাবে সতর্ক হতে হবে পুরসভাকে। |
এমনই দু’টি ভ্যানে চলবে প্রচার। বুধবার তার উদ্বোধনে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
আছেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। ছবি: প্রদীপ আদক |
পুরসভা সূত্রের খবর, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও গত বারের তুলনায় কম। ইতিমধ্যে প্রায় ৭ হাজার মানুষের রক্ত পরীক্ষা হয়েছে পুর-স্বাস্থ্য দফতরে। ৩-৪ শতাংশ রোগীর শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলেছে। অতীনবাবু জানান, পুরসভার ১৪১টি ওয়ার্ডেই স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা ঘুরছেন। কোনও বাড়ির জমা জলে মশার লার্ভা পেলেই বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। মহাকরণ, হাইকোর্ট, জিপিও-সহ শহরের নানা হাসপাতালেও জমে থাকা জলে মশার লার্ভা আছে কি না পরীক্ষা করা হচ্ছে। মশা নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা ছড়াতে বুধবার পুর-ভবনের সামনে এলইডি স্ক্রিন লাগানো দু’টি মোবাইল প্রচার ভ্যান উদ্বোধন করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। মশা দমনে পুরকর্মীরা যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন কী ভাবে জমা জলে মশা বাড়ে, কী ভাবে তা মারা হয়, সবই দেখানো হয়েছে ১৫ মিনিটের একটি তথ্যচিত্রে। অতীনবাবু জানান, আগামী দু’মাস শহরের বড় বড় রাস্তার মোড়ে ও ওয়ার্ডের অলি-গলিতে ঘুরবে ভ্যান দু’টি। ভ্যানপিছু দৈনিক ৮ হাজার টাকা খরচ হবে বলে পুর সূত্রে খবর। |