আজ, বৃহস্পতিবার ফের ভোটগ্রহণ হবে জেলার মোট ৫৬টি বুথে। তার মধ্যে রয়েছে মেমারির ৫৫টি ও মন্তেশ্বরের একটি বুথ। গণনার দিন কিছু দুষ্কৃতী ব্যালট ছিনতাই করায় ও ছিঁড়ে ফেলায় এই বুথগুলিতে নতুন করে ভোটগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা জানান, ৫৬টি বুথে পাঁচ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রতি বুথে রাখা হচ্ছে চার জন করে ভোটকর্মী। পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি বুথে থাকবেন প্রচুর পুলিশকর্মী। মেমারি ২ ব্লকে কুচুট, বিজুর, সাতগাছিয়া ১ ও ২ এবং বোহার, এই পাঁচটি পঞ্চায়েতে ভোট নেওয়া হবে। মন্তেশ্বরের মামুদপুর পঞ্চায়েতের রাউতগ্রামে ১৭৬/২ নম্বর বুথে ভোট হবে। ভোটগণনা হবে ৩ অগস্ট। জেলায় ইতিমধ্যে ১৯২টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ২৬টি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের ৭৫টি আসনের মধ্যে ৬১টি দখল করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, সিপিএমের হামলাতেই মেমারি ব্লকের গণনাকেন্দ্র থেকে ব্যালট ছিনতাই হয়েছিল। তাই উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে দলের ব্লকের সমস্ত কর্মীকেই সেখানে মজুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে কর্মীদের কোনও প্ররোচনায় পা না দিতেও বলা হয়েছে বলে তৃণমূল নেতাদের দাবি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদারের পাল্টা দাবি, “বুধবার সকাল থেকেই পাহাড়হাটি, বোহার ইত্যাদি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারেন, তাই সন্ত্রাসের আবহাওয়া সৃষ্টি করা হচ্ছে। ওই সন্ত্রাস আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা করব।” মন্তেশ্বরের রাউতগ্রামে বুধবার বৈঠক করে সেখানে ভোটে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বামেরা। ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা কমিটির সদস্য উৎপল মিত্রের দাবি, “আমরা ওই বুথে জিতেছিলাম। তা সত্ত্বেও ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে ভণ্ডুল করে দিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরে জঙ্গলে ব্যালট মেলে। ন্যায্য আসন না দেওয়া এবং নিরপত্তার অভাবের জন্য আমাদের কর্মীরা ভোটে যোগ দেবেন না।” তৃণমূলের মন্তেশ্বর ব্লক সভাপতি সজল পাঁজার পাল্টা বক্তব্য, “ব্যালট কে ছিনিয়েছিল জানি না। তবে নিরাপত্তার যথেষ্ট ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।” |