গণনা মিটে যাওয়ার পরেও সংঘর্ষ থামছে না কালনায়।
বুধবার কংগ্রেস ও তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল কালনা ১ ব্লকের নান্দাই পঞ্চায়েতের পারদুপসা গ্রামে। ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয় দলেরই কয়েকজন সমর্থক। আহত তৃণমূল সমর্থকদের কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এক কংগ্রেস নেতাকে ভর্তি করা হয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের নাম আবদুল রেজ্জাক মল্লিক, ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ শেখ, বরকত আলি শেখ, সবুদ হোসেন মল্লিক ও সুকান্ত মল্লিক। ধৃতদের কাছ থেকে ২টি পাইপগান, ৬টি বোমা ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতরা এলাকায় কংগ্রেস সমর্থক বলে পরিচিত। ধৃতদের বুধবার কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কালনা থানার এক কর্তা বলেন, “ঘটনার পর দু’জন মোটরবাইকে করে অস্ত্র নিয়ে পালাচ্ছিল। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই গ্রামে আরও বোমা থাকার সম্ভবনা রয়েছে। সেগুলির খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নান্দাই পঞ্চায়েতের পারদুপসা গ্রাম বরাবরই কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওই এলাকায় জোট করে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল ও কংগ্রেস। কিন্তু এ বার জোট হয়নি। ভোট কাটাকাটিতে ওই পঞ্চায়েত দখল করেছে সিপিএম। তবে পারদুপসা গ্রামে জেতে তৃণমূল প্রার্থী সিরিনবানু শেখ। কংগ্রেস প্রার্থী নাজিরা বেগমকে চার ভোটে হারান তিনি। কংগ্রেস ওই বুথে পুনর্গণনার দাবি জানালেও সেটা মানা হয়নি। গন্ডগোলের সূত্রপাত এরপরেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পারদুপসা গ্রামে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা বিজয় মিছিল করার জন্য একটি চায়ের দোকানের সামনে জমায়েত হয়েছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, তখন পাশের কংগ্রেস কার্যালয় থেকে কয়েকজন বেরিয়ে এসে তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে থাকে। কংগ্রেসের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থকদের আক্রমণে তাদের পাঁচজন কর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আহত তৃণমূল কর্মী মোক্তার শেখের অভিযোগ, “মিছিল করার প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ, তখনই আমাদের দিকে বোমা ছুড়তে থাকে কংগ্রেস কর্মীরা। কুড়িটিরও বেশি বোমা ছোঁড়া হয়।” আহতদের দেখতে কালনা হাসপাতাল যান তৃণমূলের বর্ধমান (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ। কালনা-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুশীল পাখিরার দাবি, “দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য প্ররোচনামূলক কথা বলার পরে পরিস্থিতি খারাপ হয়।” |