দু’টি পঞ্চায়েত ও একটি পঞ্চায়েত সমিতি গঠনে বিজেপি নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে চলেছে কাটোয়া মহকুমায়। কেতুগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতি ও ওই ব্লকেরই কেতুগ্রাম পঞ্চায়েত এবং মঙ্গলকোটের নিগন পঞ্চায়েতে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় খানিকটা অস্বস্তি তৃণমূল, সিপিএমদুই শিবিরেই। কোনও পক্ষই সরাসরি বিজেপি-র সঙ্গে কথা বলেনি। বিজেপি নেতারা যদিও জানাচ্ছেন, পঞ্চায়েত গঠনে ‘সাহায্য’ করার জন্য সব রকম পথ খোলা রাখছেন তাঁরা।
মঙ্গলকোটের ১৫টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ১২টি দখল করেছে। তিনটিতে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে নিগন পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৭টি, সিপিএম ৭টি ও বিজেপি দু’টি আসন পেয়েছে। ফলে, পঞ্চায়েত গঠনে এখন নির্ণায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। জয়ী দুই বিজেপি প্রার্থী যাকে সমর্থন করবেন তারাই পঞ্চায়েত দখল করবে। তাঁরা তৃণমূলকে সমর্থন করলে পঞ্চায়েতটি সিপিএমের হাতছাড়া হবে। কেতুগ্রাম পঞ্চায়েতে আবার সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি তিনটি করে আসন পেয়েছে। তৃণমূল জিতেছে দু’টিতে। এ ক্ষেত্রেও সিপিএম এবং কংগ্রেস হাত মিলিয়ে বোর্ড গড়লে করলে আলাদা কথা, অন্যথায় বিজেপি ছাড়া পঞ্চায়েত গঠন করা অসম্ভব।
কেতুগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির ২০টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১০টি, তৃণমূল ৯টি এবং বিজেপি একটি আসনে জিতেছে। এই পঞ্চায়েত সমিতিতে ফের ক্ষমতায় আসতে হলে সিপিএম-কে বিজেপি-র সমর্থন নিতেই হবে। সিপিএমের ভাগীরথী-অজয় জোনাল কমিটির সদস্য তথা কেতুগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক তমালচন্দ্র মাঝি বলেন, “অদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” কেতুগ্রাম ২ ব্লকের গঙ্গাটিকুরি, কেতুগ্রাম, নিরোল, মৌগ্রাম পঞ্চায়েতে ত্রিশঙ্কু অবস্থা তৈরি হয়েছে। তৃণমূল নেতা অপূর্ব চৌধুরী অবশ্য বলেন, “আমরা কাউকে নিয়ে পঞ্চায়েত গঠন করব না। তবে কেউ আমাদের দলে যোগ দিতে চাইলে সাদরে গ্রহণ করা হবে।”
বিজেপি দু’দিকই খোলা রাখছে। দলের জেলা (গ্রামীণ) সহ-সভাপতি অলোকতরঙ্গ গোস্বামী বলেন, “আমরা সব পথ খোলা রেখেছি। পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
কলেজে বিক্ষোভ। শংসাপত্র না পাওয়ার অভিযোগে আসানসোলের ধাদকা পলিটেকনিক কলেজে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁদের অভিযোগ, ২০০৫ সাল থেকে পাস করে যাওয়া ছাত্রেরা কৃতকার্য হওয়ার শংসাপত্র পাচ্ছেন না। |