উত্তর কলকাতা
বরাহনগর
সেজে উঠছে পাড়া
ছিল আস্তাকুঁড়। হয়ে গেল শিশু উদ্যান। বরাহনগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেহালা পাড়ার সরু রাস্তার ধারে একফালি জমিটিতে আবর্জনা ডাঁই হয়ে থাকত। ছোটদের খেলার জায়গা ছিল না। বরাহনগর পুরসভা সেখানেই গড়ে তুলল ছোট্ট পার্ক। সম্প্রতি রামকৃষ্ণদেবের নামাঙ্কিত এই পার্কটির উদ্বোধন করলেন
সাংসদ সৌগত রায়। ছিলেন বিধায়ক তাপস রায়, বরাহনগর পুরসভার উপপ্রধান রামকৃষ্ণ পাল প্রমুখ। নতুন পার্ক বদলে দিয়েছে পাড়ার ছবি। বিকেলে পার্কে ছোটদের ভিড় জমে ওঠে। কেউ দোলনায় ঝুলছে। কেউ ঢেঁকিতে ব্যস্ত। এসেছে তাদের দাদু, ঠাকুমারাও। রামকৃষ্ণবাবু দীর্ঘ ২০ বছর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। এখন কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রী সরমা পাল।

রামকৃষ্ণবাবু জানান, পুরসভা ছাড়াও স্থানীয় মানুষ পার্কটিকে গড়ে তোলার ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। পার্ক তৈরি ছাড়াও সাংসদ তহবিলের টাকায় পার্কের কাছে মল্লিক কলোনির পুকুরটি সংস্কার করে চারপাশ আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল-সহ মনীষীদের প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে। সৌগতবাবু জানান, বরাহনগর পুরসভার বয়স দেড়শ’ বছর হলেও পার্ক, খেলার মাঠ-সহ সৌন্দর্যায়নের বিষয়গুলি দীর্ঘ দিন উপেক্ষিত ছিল। এ বার সে কাজে হাত দেওয়া হয়েছে।
বরাহনগর পার্ক ও উদ্যান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান-পারিষদ অমর পাল জানান, পুরবোর্ড তৃণমূলের হাতে থাকলেও পার্ক সাজানোর ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে সবাই উদ্যোগী হয়েছেন। বরাহনগরের পূর্ব দিকে ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে যেমন পার্ক তৈরি হচ্ছে, তেমনই পশ্চিম দিকের ২ নম্বর ওয়ার্ডেও পার্ক তৈরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে নতুন পার্ক তৈরি ও পুরনো পার্ক সংস্কার বাবদ এক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এতে সব মিলিয়ে ২০টি পার্কের কাজ হবে।
পুরনো পার্কগুলিতে সবুজ বাড়বে। শিশুদের খেলার সরঞ্জাম বসবে। আলো দিয়ে সাজানো হবে। বরাহনগর পুরসভা সংলগ্ন বিধান উদ্যান ঢেলে সাজা হচ্ছে। আগামী পয়লা জুলাই, বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে এই পার্কের উদ্বোধন করা হবে বলে অমরবাবু জানিয়েছেন।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.