যোগ
শুধুই সাফল্য
কেউ এসেছিলেন রায়গঞ্জ থেকে। কেউ মুর্শিদাবাদ। কেউ বর্ধমান। কেউ বা বীরভূম থেকে। সব মিলিয়ে ৩৫০ জনেরও বেশি প্রতিযোগীকে নিয়ে শরৎসদন পার্কের মুক্ত মঞ্চে হয়ে গেল সারা বাংলা যোগাসন প্রতিযোগিতা। ‘ইন্টারাক্ট ক্লাব অফ হাওড়া যোগা হেলথ কেয়ার’ আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় সেরা হয়ে মিস্টার ও মিস যোগা বেঙ্গলের খেতাব জিতলেন হাওড়ারই শুভদীপ পাঁজা ও ঈশিকা মণ্ডল।
প্রতিযোগিতার সূচনা করেন গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের স্বামী চিদরূপানন্দ। পুরুষ এবং মহিলাদের মোট ১২টি বিভাগে লড়াই হল। মঞ্চে উঠে নজর কাড়লেন ৩৫ ঊর্ধ্ব বিভাগে কোন্নগরের সুষমা নাথ, মহেশতলার মিলন মণ্ডলরা। বেশি জমে উঠেছিল মিস্টার ও মিস যোগা প্রতিযোগিতা। মিস যোগা বেঙ্গলের খেতাব জিতে নেয় ১০-১৩ বছর বিভাগের সেরা প্রতিযোগী ঈশিকা মণ্ডল। ব্যাঁটরা বিধুভূষণ পালচৌধুরী গার্লস স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্রটি যোগাসন শেখে ‘যোগা হেলথ কেয়ার’ ও কোণা ‘তরুণ দল’ ক্লাবে। বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ঈশিকার কথায়: “জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।”
পুরুষদের ১৩-১৭ বছর বিভাগের সেরা প্রতিযোগী শুভদীপ পাঁজা মিস্টার যোগা বেঙ্গল হতে পেরে খুশি। জগৎবল্লভপুরের দশম শ্রেণির এই ছাত্রটি যোগচর্চা করে ‘রজনী স্মৃতি যোগ ব্যায়ামাগার’-এ। দিল্লিতে জাতীয় যোগাসনে অংশ নিয়ে আসা শুভদীপের বাবা মিষ্টির দোকানে কাজ করেন। বছর চারেক আগে কোমর এবং হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যোগাসন চর্চা শুরু করেন সুষমা নাথ। তিনি বললেন, “ট্রফি জিতে কী লাভ? কিছুই তো পাই না।”
আয়োজক সংস্থার সচিব চন্দ্রনাথ রাম বললেন, “১৬ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতা করছি। অনেকেই ভালবাসার টানে আসেন। সরকারি স্তরে যদি চাকরি, আর্থিক সহযোগিতা না মেলে তা হলে এ ভাবে আর কত দিন?” প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী অরূপ রায়, মনোহর আইচ, চিকিৎসক রামকৃষ্ণ ঘোষমণ্ডল প্রমুখ।

—নিজস্ব চিত্র




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.