খেলা
কিস্তি মাত
জেলা দাবায় ঝুলি ভরল না হাওড়ার। সাফল্য বলতে সুপ্রিয়া মাঝির তৃতীয় স্থান দখল। চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সের খেতাব জিতল কলকাতা। হাওড়া ডিস্ট্রিক্ট চেস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এ বারের প্রতিযোগিতা হল হাওড়া জেলা স্কুলে।
এ প্রতিযোগিতায় ১০১ জন অংশ নেয়। ছিল এক ঝাঁক খুদে দাবাড়ু। এই ওপেন টুর্নামেন্টে সাত রাউন্ডে সুইস লিগ পদ্ধতিতে লড়াই চলে। জেলা চ্যাম্পিয়ন হন শিয়ালদহের স্বরূপ দেসরকার। রানার্স হন উত্তর কলকাতার শোভাবাজারের দাবাড়ু শাম্ব দত্ত। ২০০৫-এ মহারাষ্ট্রে জাতীয় ‘বি’ দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন বরগাছিয়ার মেয়ে সুপ্রিয়া মাঝি। বেশ কয়েক বছর প্রতিযোগিতার বাইরে ছিলেন। এ বার জেলা দাবায় নেমে তৃতীয় স্থানে খেলা শেষ করে সুপ্রিয়া।
গ্রামের বাড়িতে বাবা বিদ্যুৎ মাঝির কাছে দাবায় হাতেখড়ি হয়েছিল সুপ্রিয়ার। সুপ্রিয়ার কথায়: “যেখানে থাকি, সেখান থেকে কলকাতায় আসতে বাসে ঘণ্টা-দেড়েক লাগে। ব্যক্তিগত কোচ রেখে দাবা শেখার সামর্থ্য নেই। দাবা এখন বেশ ব্যয়সাপেক্ষ খেলা। সুযোগ-সুবিধা না পেলে আমাদের মতো সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েদের পক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন।”
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
এ বারের প্রতিযোগিতায় নজর কাড়ল শ্রীতমা দাস, শ্রীদীপ গুছাইত, শুভম রায়, বিপ্র নাথ, সৃজিতা সরকারের মতো খুদে দাবাড়ুরা। মাকড়দহ থেকে জেলা দাবায় খেলতে আসা খুদে অনিমিথ শ্রীমানি। সে বলে, “জেলায় একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করলে ভাল হয়।” জেলা দাবা প্রতিযোগিতার সংগঠন সচিব দিলীপ দাস বললেন, “জেলায় ভাল কোচ এনে প্রশিক্ষণ দিতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। তবে ৫ থেকে ১৪ বছরের ছেলেমেয়েদের জন্য প্রশিক্ষণ চালু রয়েছে।” সংগঠন সচিব জানালেন, সম্প্রতি জেলা দাবার সভাপতি মন্ত্রী অরূপ রায়ের সহযোগিতায় রাজ্য সরকারের কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকার অনুদান মিলেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু দাবার ঘড়ি কেনা হয়েছে। আগামী দিনে এখান থেকে যাঁরা জাতীয় পর্যায়ে খেলতে যাবে, তাঁদের কিছু আর্থিক সহায়তা দেবে জেলা দাবা সংস্থা।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.