নলবাহিত জল সরবরাহ প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি সরেজমিন দেখে গেলেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মানবাজার ২ ব্লকের কুমারী অঞ্চলের কুমারী ও টটকো নদীর সংযোগস্থলে ঘাট গ্রামে সম্প্রতি ওই জল প্রকল্পের কাজ দেখেন মন্ত্রী। ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে সেখানে জল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পুরুলিয়ার এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবজিৎ কুণ্ডু বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য ৪৫ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৫৭টি মৌজার বাসিন্দা এই প্রকল্পের সুফল পাবেন। ৪৪ হাজার লোক এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হলেও ২৫ বছর অবধি ৬৬ হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবেন।” তিনি জানান, প্রকল্প চালু হলে প্রতিদিন এক মিলিয়ন গ্যালন জল উত্তোলন করা হবে। আগামী ছয়-আট মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তাঁর আশা। কাজের গতি বাড়াতে অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে।
বিডিও (মানবাজার ২ ব্লক) পার্থ কর্মকার জানান, এই ব্লকে নলবাহিত জল সরবরাহ ছিল না। খড়িদুয়ারা, রামপুর, আঁকরো, হেঁসলা ও কুটনি গ্রামে জলাধার গড়া হচ্ছে। কুমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সন্তোষ মান্ডির কথায়, “এলাকার বাসিন্দারা এত দিন ধরে নলকূপ, কুয়ো ও নদীর বালি খুঁড়ে খাবার জল সংগ্রহ করতেন। এই প্রকল্প চালু হলে পানীয় জলের সমস্যা মিটবে।” মন্ত্রী সুব্রতবাবু বলেন, “দীর্ঘ বাম জমানায় এই এলাকায় পানীয় জলের সংস্থান হয়নি। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে পানীয় জল এবং রাস্তা নির্মাণে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।” এলাকার নৈসর্গিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ সুব্রতবাবু জানান, এখানে ইনস্পেকশন বাংলো তৈরি করা হবে। শুধুমাত্র বিভাগীয় আধিকারিকরাই নন, ভাড়া দিয়ে পর্যটকেরাও এখানে থাকতে পারবেন। |