সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্মীকে গ্রেফতার করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাত্রে আসানসোল থেকে গৌতম আচার্য নামে ওই কর্মীকে ধরে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর জানিয়েছেন, ধৃতের বিরুদ্ধে অন্যের সই জাল করে সরকারি অর্থ তছরুপের অভিযোগ আছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঝালদার এক পেট্রোল পাম্পের মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে ধরা হয়। |
গৌতমবাবু এক সময় পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের অফিসেই হিসাবরক্ষকের পদে কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন বিল মেটানোর বিষয়টি তিনিই দেখভাল করতেন। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে ঠিক এ ধরনেরই অভিযোগ ওঠায় তিনি গ্রেফতারও হন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে। তার পরই তাঁকে ২০০৬ সালে এই জেলা থেকে বর্ধমানে বদলি করে দেওয়া হয়।
গৌতমবাবু পুরুলিয়ায় থাকাকালীনই ঝালদার ওই ব্যবসায়ী পুলিশকে সরবরাহ করা গাড়ির জ্বালানির বিল জমা দিয়েছিলেন। গৌতমবাবু বদলি হয়ে চলে যাওয়ার পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর এখনও প্রায় ৭ লক্ষ টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। অথচ সেই বিলের ‘পেমেন্ট’ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে বলে তাঁকে পুলিশের তরফে জানানো হয়। পুলিশ অফিসের নথি অনুযায়ী, সেই টাকা তিনি নাকি নিজে সই করে তুলেছেন। এর পরেই ওই ব্যবসায়ী পুরুলিয়া জেলা পুলিশের এক কর্তাকে পুরো ঘটনাটি জানান। ৭ লক্ষ টাকা প্রাপ্তির সই পুলিশের কোন নথিতে রয়েছে, তা-ও তিনি দেখতে চান।
সুরেশ অগ্রবাল নামে ঝালদার ওই ব্যবসায়ীর দাবি, “নথি দেখে আমি তাজ্জব বলে যাই। বুঝতে পারি, আমার সই জাল করে কেউ আমার প্রাপ্য টাকা তুলে নিয়েছে।” তিনি পুলিশ কর্তাদের দেখান যে, এক জায়গায় বিল তিনি নিজে সই করে, রেভিনিউ স্ট্যাম্প লাগিয়ে টাকা ‘রিসিভ’ করেছেন। অথচ ওই নথিতেই অন্য জায়গায় তাঁর সই মিলছে না। এর পরেই তিনি গৌতমবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার ধৃতকে পুরুলিয়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে দু’দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |