একশো দিনের কাজে ‘দুর্নীতি’, ঘেরাও-বিক্ষোভ খয়রাশোলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খয়রাশোল |
একশো দিনের প্রকল্পে একটি পুকুর সংস্কারের কাজ করেও পুরো টাকা পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত ওই প্রকল্পে কাজ না হলেও ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে ৫৭ হাজার টাকার বেশি তছরুপ করেছে খয়রাশোল পঞ্চায়েত। মূলত এই দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সিপিএম পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত প্রায় ঘণ্টা তিনেক ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। বিক্ষোভের পাশাপাশি বেশ কিছুক্ষণ তৃণমূলের লোকেরা তালা বন্ধ করে রাখেন উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীদের। শেষ পর্যন্ত খয়রাশোলের বিডিও-র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ব্লকের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা অশোক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “এটা তৃণমূলের নিজস্ব কোনও বিষয় নয়। |
পঞ্চায়েতে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র |
এই পঞ্চায়েত এলাকার পেরুয়া-গোপালপুর গ্রামের যে সব মানুষ কাজ করেও টাকা পাননি তাঁরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা তাঁদের সমর্থন করেছি। শুধু তাই নয়, কাজই হয়নি এমন পুকুর সংস্কার দেখিয়ে টাকা তোলা হয়েছে।” অভিযোগ মানেননি উপপ্রধান, সিপিএমের ভূপেন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “টাকা তছরূপের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর কাজ করে সকলেই টাকা পেয়েছেন।” তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “শুধুমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অস্থিরতা তৈরি করতে আমাকে এবং কর্মীদের হেনস্থা ও মারধর করেছে তৃণমূলের কিছু লোক।” অশোকবাবু অবশ্য বলেন, “বিক্ষোভের সময় খয়রাশোল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিল। তর্কাতর্কি ছাড়া বেশি কিছু হয়নি।”
এ দিকে, বিক্ষোভকারী গোপালপুর গ্রামের সাধনা বাগদি, চন্দনা বাগদি, পার্থ বাগদি, রাহুল দাসগুপ্ত, শ্যামল চক্রবর্তীদের কথায়, “গত আশ্বিন মাসে গ্রামের ‘হরিবাঁধ’ সংস্কার করা হয়েছে। গড়ে ৯-১০ দিন কাজ করলেও পুরো টাকা এখনও পাইনি। অথচ ওই গ্রামেই ‘নতুনপকুর’ নামে একটি পুকুরে কচুরিপানা পরিষ্কারের খরচ বাবাদ ৫৭,৩৯২ টাকা খরচ দেখানো হলেও সেখানে কোনও কাজই হয়নি।” খয়রাশোলের বিডিও মহম্মদ ইসরার বলেন, “কেউ লিখিত অভিযোগ জানালে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |