বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা হলদিবাড়ি এক্সপ্রেসের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট ও কলকাতা |
বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল আপ কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে, বীরভূমের নলহাটি ও চাতরা স্টেশনের মাঝে ইঞ্জিন-সহ ট্রেনটির চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঘটনায় কয়েক জন যাত্রী অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন। দু’জন রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পূর্ব রেল।
রেল সূত্রে খবর, লাইন বাঁকা রয়েছে দেখে দূর থেকেই জরুরি ব্রেক কষেন চালক শিবশঙ্কর যাদব। তিনি জানিয়েছেন, চাতরার দিকে যাওয়ার সময়ে গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ৯০-৯৫ কিলোমিটার। লাইনে চার জন লোক ছিল। কিন্তু তাঁরা কী করছিলেন, বুঝতে পারেননি তিনি। ট্রেন থামার পরে দেখা যায়, সামনে প্রায় চার ফুট মতো রেললাইন বেঁকে রয়েছে। ঘটনাস্থলে দু’টি বড় বড় হাতুড়ি ও কয়েকটি প্যানড্রোল ক্লিপের ভাঙা অংশও লাইনের পাশে পড়েছিল। এটা দেখে রেল কর্তারা মনে করছেন লাইনে গ্যাংম্যানেরা কাজ করছিলেন। রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী বলেন, “পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা ওখানে গিয়েছেন। তাঁদের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।” |
নলহাটি ও চাতরা স্টেশনের মাঝে লাইনচ্যুত কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম। |
যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ওই জায়গাটি রেলের পরিভাষায় ‘মিডওয়ে সেকশন’ বলে। রেল-কর্তাদের বক্তব্য, ওই জায়গায় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ক্ষেত্রে দু’টি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, দু’টি লাইনের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রচণ্ড গরমে লাইন বেঁকে যাওয়া। এ ক্ষেত্রে লাইন বেঁকে যাওয়াতেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। আর লাইন বেঁকে গিয়েছে বুঝেই লাইন সোজা করার কাজ চলছিল বলে অনুমান রেলের তদন্তকারী অফিসারদের। কিন্তু ওই লাইনে কোনও কাজ চলছিল কি না তা বলতে পারেননি ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা অফিসার (পিডবলিউআই) নরেন্দ্র কুমার। তিনি বলেন, “নলহাটি ও চাতরা স্টেশনের মাঝে কারা, কী কাজ করছিল আমার জানা নেই।”
ট্রেনের যাত্রী সঞ্চিতা বসু, সুরজিৎ মিত্ররা বলেন, “আচমকা ঝাঁকুনি হওয়ায় বুঝতে পারি কিছু একটা ঘটেছে। বাইরে বেরিয়ে দেখি চারটি বগি লাইন থেকে হেলে পড়েছে।” |