গত রবিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের বিরুদ্ধে বামেদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে কমিশন-শাসক দল তিক্ততা বাড়িয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। এক সপ্তাহ পরে সেই প্রসঙ্গেই কিছুটা সুর নরম করলেন মুকুলবাবু।
গত রবিবার মুকুলবাবু অভিযোগ করেছিলেন বামেদের হার বিলম্বিত করতেই পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ক্রমাগত পিছিয়ে দিচ্ছেন মীরাদেবী। আর এক সপ্তাহ পরে এক প্রশ্নের জবাবে মুকুলবাবু বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সকলের গতিবিধি ও এক্তিয়ার নির্ধারিত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও কমিশন গণতান্ত্রিক পরম্পরায় যদি গণ্ডির মধ্যে থাকে, তা হলেই ভাল।” পঞ্চায়েত ভোটের সময় স্থির করা এবং ক’দফায় ভোট হবে বা আধা-সামরিক বাহিনী এনে ভোট হবে কি না, তা নিয়ে কমিশন ও শাসক দলের সংঘাত এড়াতেই মুকুলবাবুর এমন মন্তব্য বলে তৃণমূল সূত্রের ব্যাখ্যা।
মুকুলবাবুর ওই কড়া মন্তব্যের পরে মুখ খুলেছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনও। তার পরে দু’দফায় ভোট করা নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থানে অনড় থেকেও সাংবিধানিক ভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কমিশনের সঙ্গে সংঘাত মিটিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ভোট করা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে সংঘাত বাড়লে যে আখেরে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তা বুঝেই তৃণমূল নেতৃত্ব সুর নরম করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে দলেরই একাংশের মত। বুথে বুথে সশস্ত্র পুলিশ রেখে কমিশনের ভোট-ভাবনা জানার পরে এ দিন মুকুলবাবুও সরাসরি কমিশনের সঙ্গে আর সংঘাতের পথে যাননি। কমিশনের ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাঁরা সহমত কি? প্রসঙ্গ এড়িয়ে মুকুলবাবুর জবাব, “আধা-সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র পুলিশ যাই থাকুক না কেন, পঞ্চায়েতে তৃণমূলের জয় সময়ের অপেক্ষা!” প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, “যদি জয় নিয়ে তৃণমূল নিশ্চিতই থাকে, তা হলে মীরা পাণ্ডের সঙ্গে ওঁরা লড়াই করছেন কেন?”
|
দল বদল বাড়ছে কংগ্রেস-তৃণমূলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে দল বদলের খেলা জমছে কংগ্রেস-তৃণমূলে! প্রায় পাঁচশো দলীয় কর্মী সমর্থক নিয়ে রবিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন হাবরা শহর কংগ্রেসের সভাপতি নীলিমেশ দাস। গত বিধানসভায় ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রে সিপিএমের আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী ইব্রাহিম মোল্লাও যোগ দিলেন তৃণমূলে। মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে এই যোগদানের ঘোষণা করার ঘণ্টা দু’য়েকের মধ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় তৃণমূলের দুই ব্লক সভাপতি দলবল নিয়ে কংগ্রেসে এসেছেন। নীলিমেশবাবুর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।” |