অবশেষে চালু হল ডানকুনি টোল-প্লাজা
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পাঁচ মাসেরও বেশি বন্ধ থাকার পরে রবিবার সকাল থেকে ফের ‘টোল’ নেওয়া শুরু হল হুগলির ডানকুনি টোল-প্লাজায়। পুরনো শ্রমিকেরাই সেখানে কাজ করছেন। বর্ধমানের পালশিট টোল-প্লাজায় টোল আদায় অবশ্য এখনও বন্ধ। তবে শীঘ্রই তা চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
গত ৬ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্তে ডানকুনি এবং পালসিটের টোল-প্লাজা থেকে টোল আদায় বন্ধ করে দেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। পরদিন থেকে ওই নির্দেশ কার্যকর হয়। দু’টি টোল-প্লাজার টোল আদায়ের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার পরিবর্তে মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়। দু’জায়গায় ১৫৫ জন করে শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। ওই বিজ্ঞপ্তি জারির ফলে তাঁরা কাজ হারান। পুনর্বহাল এবং টোল আদায় ফের চালুর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। নেতৃত্ব দেয় তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রায় পাঁচ মাস ধরে টোল আদায় বন্ধ থাকায় বহু কোটি টাকা রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে মুম্বইয়ের নতুন ঠিকাদার সংস্থার তত্ত্বাবধানে ডানকুনিতে টোল আদায় শুরু হওয়ায় খুশি আন্দোলনরত শ্রমিকেরা। তাঁদের মধ্যে ১২০ জনকে কাজে বহাল করা হয়েছে। ওই ঠিকাদার সংস্থার এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর রাজেশ নারায়ণনের আশ্বাস, “পর্যায়ক্রমে বাকি শ্রমিকদের কাজে নেওয়া হবে।”
এ দিন সকালে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ডানকুনি টোল-প্লাজায় গিয়ে নারকেল ফাটান। টোল নেওয়া ফের চালু হওয়ার ঘটনাটি নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছেন ডানকুনির আইএনটিটিইউসি নেতারা। ওই টোলপ্লাজার আইএনটিটিইউসি নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, “নতুন ঠিকাদার সংস্থা পুরনো শ্রমিকদের কাজে নেওয়ায় আমরা খুশি। বাকিদেরও নেওয়া হবে বলে ওঁরা কথা দিয়েছেন। গত পাঁচ মাসে দু’টি টোলপ্লাজায় অন্তত ৫০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। এটা না হলেই ভাল হত।” কিন্তু রাজস্ব ক্ষতির একটা পরোক্ষ কারণ কি সুবীরবাবুদের আন্দোলন নয়?
সুবীরবাবুর বক্তব্য, “টোল নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু রেখেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথাবার্তা চালানো যেতে পারত। তাতে রাজস্বের ক্ষতি হত না। তা ছাড়া আমরা টোল-প্লাজার শ্রমিকদের কাজ হারানোর প্রতিবাদ করেছিলাম। নতুন ঠিকাদার সংস্থা তো তাঁদের ফের কাজে নিয়েছে।”
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কর্তারা এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন সংস্থাকে এখনও পালশিটের টোল-প্লাজার কাগজপত্র বুঝিয়ে দেওয়ার কাজ বাকি রয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ওই টোল-প্লাজাও চালু করা হবে। তবে সেখানে পুরনো কর্মীদেরই কাজে বহাল করা হবে কি না, সে ব্যাপারে কোনও পক্ষই মুখ খুলতে চায়নি। |