|
|
|
|
তামাক নিয়ে গগৈ হিমন্ত টানাপোড়েন অব্যাহত অসমে
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
প্রদেশ কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোঁদলের নতুন হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘তামাক’। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের শিবির ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার শিবিরের মধ্যে তামাক নিষিদ্ধকরণ বিলটি নিয়ে চাপান-উতোর চলছে পুরোদমে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ৯ মার্চ টুইট করে জানান, চলতি বিধানসভা অধিবেশনেই গুটখা ও ধোঁয়াহীন তামাক নিষিদ্ধ করার আইন আনতে চলেছেন তিনি। সেই দিন সন্ধ্যায় তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, “আজ থেকে ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও মানদণ্ড আইন’ (ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট) অনুসারে রাজ্যের সর্বত্র তামাক ও নিকোটিন থাকা দ্রব্যের বিক্রয়, প্রদর্শন ও সঞ্চয় নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হল।”
তবে কাজের কাজ হয়নি। গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের সর্বত্রই আগের মতো তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের রমরমা চলছে। এরপর বিধানসভায় কংগ্রেস শিবির থেকেই ঘোষণা করা হয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিবার্য কারণে চলতি বিধানসভায় তামাক নিষিদ্ধকরণ বিল পেশ করছেন না। কংগ্রেসের একাংশ অভিযোগ তোলে, হিমন্তের সঙ্গে এক তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় সংস্থার আঁতাতের ফলেই তিনি বারবার পিছিয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য, পরের দিনই হিমন্ত সাফ জানান, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী চলতি অধিবেশনেই বিলটি পেশ করা হবে। কেবল তাই নয়, আঁতাঁতের অভিযোগ উড়িয়ে তিনি বলেন, “কেবল গুটখা, খৈনি নিষিদ্ধ করলেই হবে না। রাজ্যে সমস্ত ধরণের তামাকজাত দ্রব্য ও তামাকের বিক্রি বন্ধ করতে হবে।”
গত কাল মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রস্তাবিত বিলের গুরুত্ব অনেকটাই লঘু করে দিয়ে বলেন, “এই বিল পাশ করিয়ে তামাক বিক্রি বন্ধ করা যাবে না। বিক্রেতারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। হাইকোর্টও স্থগিতাদেশ দেবে। চলতে থাকবে মামলা। তামাকও বিক্রি হতে থাকবে।”
তিনি বলেন, “ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাক্ট ইতিমধ্যে কেরল, মহারাষ্ট্র, বিহারে সফল ভাবে লাগু হয়েছে। এর বিরুদ্ধেও আপিল করা হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আইনটি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে রাজ্যে এই আইন লাগু হলে হাইকোর্টে আপিল করা যাবে না। আমরা শীঘ্রই এই আইন অনুসারে তামাক বিক্রি ও প্রদর্শন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করব।” তিনি জানান, তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় নিষিদ্ধ হলে রাজ্য বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে। |
|
|
|
|
|