পণ্য নয় নারী, সরব বিশিষ্টরা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
নাগরিক কনভেনশনে চিত্রা সেন ও বিভাস চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র |
নারী নিগ্রহ রুখতে মেয়েদের ভোগ্য এবং পণ্য রূপে দেখার সামাজিক ও বাণিজ্যিক অভ্যাস বদলানোর দাবি তুললেন বিশিষ্টজনেদের একাংশ।
রবিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী হলে নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কনভেনশনের আহ্বায়ক ছিলেন সুকুমারী ভট্টাচার্য, শঙ্খ ঘোষ, নবনীতা দেবসেন, তরুণ সান্যাল, অপর্ণা সেন, কবীর সুমন, বিভাস চক্রবর্তী, প্রতুল মুখোপাধ্যায়, শতরূপা সান্যাল, কৌশিক সেন, নবারুণ ভট্টাচার্য, গণেশ হালুই, সুমিত্রা সেন, মীরাতুন নাহার, সুমিত সরকার, তনিকা সরকার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য, যশোধরা রায়চৌধুরী, সব্যসাচী দেব প্রমুখ বিশিষ্ট জন। তবে সকলে কনভেনশনে ছিলেন না। প্রতুলবাবু, বিভাসবাবু, মীরাতুন, চিত্রা সেন ছিলেন। তাঁরাই বক্তৃতা করেন। ওই সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্যের মূল স্বর নারী নিগ্রহের বীজ লুকিয়ে আছে মেয়েদের সম্পত্তি, ভোগ্য এবং পণ্য হিসাবে দেখার অভ্যাসের মধ্যে। ওই অভ্যাস বদলাতে চলচ্চিত্রে এবং বিজ্ঞাপনে নারীদেহের অশ্লীল প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে। মেয়েদেরও বুঝতে হবে, তাঁরা দেহ মাত্র নন। মীরাতুনের কথায়, “আমরা মেয়েরাও বুঝতে পারছি না, আমাদের মগজ ধোলাই চলছে। নারী যে দেহ মাত্র নয়, তার মেধা, মস্তিষ্ক আছে, তা প্রতি পদে প্রমাণ করতে হবে নারীদেরই।” নারী নিগ্রহের ঘটনায় দ্রুত তদন্ত এবং অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবিও করেছেন বিশিষ্টরা। বিভাসবাবু প্রশ্নের জবাবে বলেন, “সরকার দ্রুত এবং ঠিক পদক্ষেপ করলে নারী নিগ্রহের প্রবণতা কমে।” তবে এ রাজ্যে একের পর এক নারী নিগ্রহের ঘটনার জন্য সরকার নয়, পুলিশকে দায়ী করেছেন বিভাসবাবু। কড়েয়ার আত্মঘাতী যুবক আমিনুল ইসলাম ও সুটিয়ার নিহত শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের বাবা-মা’ও উপস্থিত ছিলেন। |
আশ্বাসে অনশন তুললেন জ্যাকব |
পুলিশের আশ্বাস পেয়ে রবিবার বিকেলে অনশন প্রত্যাহার করতে রাজি হলেন আমদাবাদবাসী জ্যাকব জর্জ। অফিসের কাজে কলকাতা এসে সর্বস্ব খুইয়ে শনিবার দুপুর থেকে হোটেলের সামনেই অনশনে বসেছিলেন তিনি। জ্যাকবের অভিযোগ, নিউ মার্কেটের হোটেল লিন্ডসে-তে থাকাকালীন ১১ মার্চ ভোরে তাঁর সমস্ত জিনিস চুরি হয়ে যায়। তাঁর দাবি, হারিয়ে যাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে তাঁর সংস্থার জরুরি তথ্য-সহ ল্যাপটপও ছিল। সেই ল্যাপটপ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জ্যাকব অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই হোটেলের সামনে অনশন চালিয়ে যাবেন বলেছিলেন। পুলিশ জানায়, হোটেলের নিরাপত্তারক্ষী ও অন্যান্য কর্মচারীদের মোবাইল ফোন ‘ট্যাপ’ করা হচ্ছে। ঘটনার দিন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যুবকেরও খোঁজ চলছে। রবিবার হোটেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পরে জ্যাকব অনশন প্রত্যাহার করেন। জানান, আজ সোমবার আমদাবাদ ফিরে যাবেন। ওই বহুজাতিক সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিট্টি জর্জ রবিবার বলেন, “কলকাতায় এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত। কলকাতা পুলিশ খুব সাহায্য করেছে।” |
প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হলেন। ধৃতের নাম কৌস্তভ সেনগুপ্ত। পুলিশ জানায়, কৌস্তভ নিজেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিয়ে সেলিমপুরের বাসিন্দা এক মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। সেই সূত্রে ১৩ মার্চ তাঁর বিয়ের দিন ঠিক হয়। কিন্তু সে দিন তিনি আসেননি। এর পরে ওই মহিলা গরফা থানায় অভিযোগ জানান, গত এক বছরে দফায় দফায় কৌস্তভ তাঁর থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়েছেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ কৌস্তভকে ধরে। পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি মাদকাসক্ত। আগেও তিনি এমন প্রতারণা করেছেন। |
এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে, যাদবপুরে। মৃতের নাম কিষ্ণু পাসোয়ান (৫০)। তিনি ট্যাক্সিচালক ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতে স্থানীয় কয়েক জন কিষ্ণুকে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে আহত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন। হাসপাতালে কিষ্ণুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। |