বিক্ষোভ, পথ অবরোধ
ফের আগুন হাবরায় তৃণমূল কার্যালয়ে
ফের তৃণমূলের কার্যালয়ে আগুন। ফের সেই হাবরায়।
এ বারের ঘটনাস্থল স্থানীয় বেড়গুম-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। সোমবার রাতে এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে কে বা কারা আগুন লাগায়। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের জন্য যে তোরণ ও মুখ্যমন্ত্রীর কাটআউট লাগানো হয়েছিল, তার একাংশ পুড়িয়ে দেওয়া হয় শনিবার রাতে। তবু রবিবার ওই কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ওই দিনই সিপিএমের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছিলেন, “সাহস থাকলে দিনের বেলা আগুন লাগান। আগুন নিয়ে খেলবেন না। ওই আগুনে পুড়ে মরবেন!” গত ৪ জানুয়ারি রাতেও হাবরার ফুলতলায় ভস্মীভূত হয়েছিল তৃণমূলের কার্যালয়।
সব মিলিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছিল যথেষ্টই। এ দিন বেড়গুমার পার্টি অফিস পুড়ে যাওয়ার খবর ছড়াতেই শয়ে শয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মী ভিড় করেন সেখানে। ঘটনার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দলীয় কার্যালয়ের কাছে নকপুল মোড়ে শুরু হয় পথ অবরোধ। রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড বেঁধে শুরু হয় প্রতিবাদসভা। অবরোধের ফলে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয় বনগাঁ-বসিরহাট ও হাবরা-বসিরহাট রোডে। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই অঞ্চল।
কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে হাবরার নকপোল
এলাকায় তৃণমূলের রাস্তা অবরোধ। ছবি: শান্তনু হালদার।
অবরোধ চলাকালীন কিশোর ঘোষ-সহ তাদের তিন কর্মীকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ করা সিপিএমের পক্ষ থেকে। সকাল দশটা নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন আইসি অনিল রায় এবং বারাসতের এসডিও সুবীর চট্টোপাধ্যায়। আইসি দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তিনটি ঘটনায় কারা আগুন লাগালো তা এখনও পরিষ্কার নয়। এ দিন পুড়ে যাওয়া দু’টি কার্যালয়ে পরীক্ষা করতে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দল। ঘটনার পর চার জনের বিরুদ্ধে হাবরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বেড়গুম-১ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি অসিত নাগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুপুরেই গ্রেফতার করে কাজল সেন ও রবীন দে নামে দুই সিপিএম কর্মীকে। মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল বার করা হয়। পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ অমিতাভ নন্দী এবং বেড়গুম ১ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান অসীম ঘোষকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “আমরা এখনও ধৈর্য্যসীমার মধ্যে রয়েছি। কিন্তু এবার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে আমাদের। স্থানীয় সিপিএম নেতা অসীম ঘোষ ও জেলা সিপিএম নেতা অমিতাভ নন্দীর ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সিপিএম। আমরা নিশ্চিত,ওরাই এই ঘটনায় জড়িত। অবিলম্বে অসীম ঘোষ এবং অমিতাভ নন্দীর গ্রেফতারের দাবি করছি আমরা।” অমিতাভাবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অসীমবাবুর দাবি, “নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূল। আমরাই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.