সৎ মায়ের মাথায় কুড়ুলের কোপ মারার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে বসিরহাট থানার ইটিন্ডা-পানিতর পঞ্চায়েতের বারপুকুরে এই ঘটনা ঘটে। করুণা দাস নামে ওই মহিলা আশঙ্কাজনক অবস্থায় বসিকহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। শুধু মাকে মারধরই নয়, বাবা ননীগোপাল দাসও প্রহৃত হয়েছেন ছেলেদের হাতে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত শম্ভূ দাস ও সঞ্জয় দাস পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় ভ্যানচালক ননীবাবুর দু’টি বিয়ে। প্রথমা স্ত্রীরই ছেলে শম্ভূ ও সঞ্জয়। দ্বিতীয় স্ত্রী করুণাদেবীর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। দুই স্ত্রীকে নিয়ে থাকার কারণে জমিজমা ও টাকাপয়সা নিয়ে নিত্য অশান্তি হত। সেই কারণে সম্প্রতি দুই স্ত্রীর আলাদা সংসার করে দেন। কিন্তু তারপরেও গোলমাল থামেনি। এ দিন সকালে ফের গোলমাল বাধলে দু’পক্ষে বচসা, ধাক্কাধাক্কি হয়। |
করুণদেবীর অভিযোগ, সেই সময় শম্ভু ঘর তেকে কুড়ুল বের করে তাঁর স্বামী ও তাঁকে কোপাতে যায়। তাকে সাহায্য করছিল ছোট ছেলে সঞ্জয় ও দুই বউ। কুড়ুলের কোপে জখম হয়ে ননীগোপাল কোনওরকমে পালাতে পারলেও গুরুতর জখম হন করুণাদেবী। ওই অবস্থাতেই তিনি ইছামতী নদী পেরিয়ে বদরতলায় পৌঁছন। সেখানে এক রিকশাচালক উত্তম দাসের সাহায্যে বাসিরহাট থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশের সাহায্যে হাসপাতালে ভর্তি হন। দোকানে চুরি। দোকানে হানা দিয়ে নগদ টাকা, বেশ কয়েকটি মোবাইল সেট নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতে রানাঘাটের বিবেকানন্দ সরণীর ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে দোকানের মালিক অনিমেষ ঘোষ দোকান খুলতে এসে দেখেন তালা ভাঙা। খোয়া গেছে বেশ কিছু দামি মোবাইল সেট ও নগদ টাকা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। |