|
|
|
|
শহরে তোরণ এমকেডিএ-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শহরের প্রবেশদ্বারে তোরণ তৈরির পরিকল্পনা নিল মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এমকেডিএ)। ইতিমধ্যে প্রকল্পের খসড়াও তৈরি হয়েছে। এমকেডিএ’র চেয়ারম্যান তথা মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “সৌন্দর্যায়নের লক্ষে একাধিক তোরণ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ধর্মায় তোরণ তৈরি হবে।” এই তোরণ তৈরিতে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা। পর্ষদ সূত্রে খবর, ধর্মার পর কেরানিচটি এলাকায় তোরণ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
কাঁসাইয়ের দু’দিকের দুই শহর ও তার আশপাশের এলাকায় উন্নয়নের জন্য-ই সাত বছর আগে গঠিত হয় মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদ। পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর শহর মেদিনীপুরের অন্যতম প্রবেশদ্বার ধর্মা। এখার উপর দিয়েই চলে গিয়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মেদিনীপুর শহরের প্রবেশদ্বারগুলোয় এখন কোনও তোরণ নেই। যেখানে লেখা, ‘এই শহরে আপনাকে স্বাগত।’ অথচ, এ জেলারই কয়েকটি পুর-এলাকায় এমন তোরণ রয়েছে। পরিস্থিতি দেখে শহরের প্রবেশদ্বারে তোরণ তৈরির পরিকল্পনা নেয় এমকেডিএ। পর্ষদের এক আধিকারিকের কথায়, “তোরণ তৈরি হলে শহরের সৌন্দর্যায়ন হবে।”
মেদিনীপুর-খড়্গপুরে মোট ৬টি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরির পরিকল্পনাও করা হয়েছে। মেদিনীপুরে ৪টি ও খড়্গপুরে ২টি। এমকেডিএ সূত্রে খবর, খড়্গপুরে ইন্দা, কৌশল্যা এবং মেদিনীপুরে রাঙামাটি, কেরানিতলা, ধর্মা, ক্ষুদিরাম পার্কের পাশে যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হবে। এ জন্য প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ, প্রতিটি প্রতীক্ষালয়ে লাগবে ৩ লক্ষ টাকা। এমকেডিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, “প্রতীক্ষালয়গুলো ফাইবারের হবে। থাকবে মনীষীদের ছবি। পরিকল্পনা রূপায়িত হলে আশপাশের এলাকার পরিবেশটাই বদলে যাবে।” কর্তৃপক্ষের দাবি, এমকেডিএ’র বাজেট বছরে সাড়ে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা। ফলে ইচ্ছে থাকলেও সব কাজ করা সম্ভব হয় না। তাই এক সময় আয় বাড়ানোর জন্য সম্পদ তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়, পর্ষদের উদ্যোগে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হবে। এর ফলে সংস্থার আয় বাড়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় জমি। পর্ষদের এক আধিকারিকের কথায়, “আমাদের কাছে এতটুকু জমিও নেই। এই সময় তো আবার জমি অধিগ্রহণ করতে যাওয়াও মুশকিল!” |
|
|
|
|
|