|
|
|
|
কংগ্রেস টিকিট দিল না মন্ত্রীকেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলং |
দলীয় টিকিট না পাওয়ায় অসন্তোষ চরমে মেঘালয়ে। এক দিকে, তিন হেভিওয়েট নির্দল প্রার্থী ও এনসিপি-এইচএসপিডিপির দুই নেতাকে টিকিট দিয়ে দলে টেনেছে কংগ্রেস। অন্য দিকে, দলের এক মন্ত্রী-সহ চার বর্তমান বিধায়ককে বাদ দেওয়া হয়েছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমা ‘হাইকম্যান্ড’-এর ঘাড়ে বন্দুক রেখে দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও তাতে বরফ গলছে না। বরং টিকিট না পাওয়া বিধায়করা এর জন্য মুকুল সাংমার প্রতিশোধস্পৃহা, কয়েকজন বড় নেতার স্বজনপোষণ ও টাকার খেলাকেই দায়ি করতে চাইছেন।
গত কাল, দিল্লিতে মেঘালয় নির্বাচনের জন্য যে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে বর্তমান মন্তিসভার সদস্য, গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী সালং সাংমা, দালুর বিধায়ক স্যামুয়েল সাংমা, মহেন্দ্রগঞ্জের আবদুল সালে ও উমরয়ের বিধায়ক স্ট্যানলি উইস রিম্বাইয়ের নাম নেই। অন্য দিকে, দক্ষিণ শিলং-এর নির্দল বিধায়ক তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী মানস চৌধুরী, ফুলবাড়ির নির্দল বিধায়ক তথা বর্তমান পরিবহনমন্ত্রী এ টি মণ্ডল, রাকসামগ্রের নির্দল বিধায়ক লিমিসন ডি সাংমা এবং এনসিপি নেতা অ্যাডল্ফ হিটলার ও এইচএসপিডিসি-র অ্যাডভাইসর পারিয়ং কংগ্রেসের তালিকায় নতুন মুখ। তালিকায় রয়েছেন ছয় মহিলা প্রার্থী। বর্তমান নগরোন্নয়নমন্ত্রী আমপারিন লিংডো শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে চরম বিতর্কের মুখে পড়েও টিকিট হারাননি। আর আছেন রোশন ওয়ার্জরি, ইউরেকা লিংডো, ডেবোরা মারাক, আরলিনা সাংমা ও মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী, ডিকাংচি ডি’সিরা।
টিকিট না পেয়ে ক্ষিপ্ত সালং সাংমা প্রকাশ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, “শিলং থেকে দিল্লি যাওয়ার সময় অবধি তালিকায় আমার নাম ছিল। দিল্লি গিয়ে কী ভাবে নাম মুছে যায়? মুখ্যমন্ত্রী চরম বিশ্বাসঘাতকতা করলেন।” রাজনৈতিক সূত্র বলছে, গত বছর মুকুল সাংমার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানো বিধায়কদের নেতৃত্বে ছিলেন সালং। তখন থেকেই মুকুল তাকে ছেঁটে ফেলার পরিকল্পনা করেন। আবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আবদুল সালে মুকুলের স্ত্রীর জন্য নিজের কেন্দ্র ছেড়ে দেন। এখন নিজেই টিকিট না পেয়ে অবাক, “ত্যাগের এই প্রতিদান?” |
|
|
|
|
|