|
|
|
|
যাবজ্জীবন দু’জনের |
কলেজ ছাত্র খুনের ঘটনায় করিমগঞ্জে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড |
উত্তম সাহা • শিলচর |
কলেজ ছাত্রকে অপহরণ এবং গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করল করিমগঞ্জ আদালত। এই ঘটনায় পুলিশ তেরো জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল। শুক্রবার করিমগঞ্জ জেলা ও দায়রা বিচারক কমলেন্দু চৌধুরী তার মধ্যে ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বাকিদের বেকসুর খালাস করে দেন তিনি।
কলেজ ছাত্র আহরার আহমদ ওরফে নাজ হত্যা মামলার রায় শুনতে আদালত চত্বরে আক্ষরিক অর্থেই ছিল উপছে পড়া ভিড়। করিমগঞ্জ ছাড়াও বদরপুর, ভাঙ্গা প্রভৃতি অঞ্চল থেকে গাড়ি নিয়ে মানুষ আসেন রায় শুনতে। সন্ধ্যায় জেলা ও দায়রা বিচারক কমলেন্দু চৌধুরী পুরো ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সেলিম আহমদ এবং গুলি চালিয়ে যে হত্যা করেছিল, সেই হিফজুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রাজু আহমদ ও হোসেন আহমদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন তিনি। সেলিমের ভাই সুলতান আহমদকে ১০ বছরের এবং রজনী তালুকদারকে ১০ বছরের কারাবাসের রায় দেন বিচারক। সুলতানকে তিনটি পৃথক অপরাধের জন্য ৭ ও ৩ বছর কারাদণ্ড ভুগতে হবে। একই ভাবে রজনীর সাজা হয়েছে ৭ ও ৩ বছরের জন্য। একটি শাস্তি শেষের পর আরেকটি শাস্তি শুরু হবে বলে রায়ে স্পষ্ট উল্লেখ করে দিয়েছেন জেলা ও দায়রা বিচারক। সেলিম ও হিফজুরকে মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে অন্য দুটি ধারায় ৭ এবং ৩ বছরের কারাদণ্ডেরও রায় শুনিয়েছেন তিনি।
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার ফাঁসির নির্দেশ হল করিমগঞ্জ আদালতে। এর আগে রাতাবাড়ি থানার বেতুবাড়িতে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে ৯ জনের এক পরিবারের সবাইকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে সোনাহর আলির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছিল। ১৯৯৯ সালের ঘটনাটির সাজা ঘোষণা হয় ২০০৮-এ। হাইকোর্ট পরে সোনাহরকে বেকসুর খালাস করে দেয়।
কলেজ ছাত্র আহরার আহমদ খুনের ঘটনার ১৪ মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি দিল আদালত। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৯ নভেম্বর রাতে ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমদের কলেজ-পড়ুয়া ছেলে আহরার আহমদ ওরফে নাজকে মোবাইলে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে এনে অপহরণ করা হয়। ২৫ নভেম্বর তার গুলিবিদ্ধ দেহ পাওয়া যায়। অপহরণকারীরা ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও আদায় করে তোফায়েল আহমদের কাছ থেকে। মোবাইলে যে আহরারকে ডেকে নিয়েছিল, সেই রজনীকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে একে একে আরও ১২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে গত বছরের ৬ জুলাই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর গুলিতে প্রাণ হারান তোফায়েল আহমদও। এই হত্যা মামলায়ও আহরার আহমদ খুনে ধৃত সকলকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। এর শুনানিও শীঘ্রই শুরু হবে। |
|
|
|
|
|