|
|
|
|
নিতিনকে সভাপতি রাখতে নাগপুর থেকে
দিল্লি আসছেন সঙ্ঘ নেতারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নিতিন গডকড়ীই বিজেপি সভাপতি থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সেই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা। সেই ক্ষোভ সামাল দিয়ে গডকড়ীর নির্বাচন মসৃণ করতে তাই গোটা নাগপুর ছুটে আসছে দিল্লিতে।
বিজেপি-র সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে আর দু’সপ্তাহের মধ্যে। তার আগে আগামী সপ্তাহে মোহন ভাগবত, ভাইয়াজি জোশী, সুরেশ সোনি, দত্তাত্রেয় হোসাবোলের মতো সঙ্ঘের শীর্ষ নেতারা ঘাঁটি গাড়ছেন দিল্লিতে। সঙ্ঘের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “গডকড়ীকেই দ্বিতীয় বারের জন্য সভাপতি করতে চান মোহন ভাগবত। কিন্তু তা নিয়ে বিজেপি-র মধ্যে এখনও যে অনেক অসন্তোষ রয়েছে, তা আমরা জানি। সেই ক্ষোভ মেটানোর জন্যই সঙ্ঘ নেতৃত্ব দিল্লিতে এসে কথা বলবেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। আমরা আশাবাদী, এই অসন্তোষ দূর করা সম্ভব হবে।”
নিতিনের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ লালকৃষ্ণ আডবাণী-অরুণ জেটলিরা। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, গত
|
মোহন ভাগবত |
তিন বছরে সভাপতি হিসেবে গডকড়ী এমন কী নজির গড়তে পেরেছেন যে তাঁকে আবার সভাপতি করা হচ্ছে? বরং তাঁর নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ থেকে হিমাচল বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়েছে। একের পর এক রাজ্য হাতছাড়া হয়েছে। তার উপর নিতিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন মাঝ পথে থামিয়ে দিতে হয়েছে বিজেপি-কে। এমন এক জনের নেতৃত্বে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে লড়া কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে বিজেপি-র অন্দরে।
গডকড়ীর মেয়াদ বৃদ্ধিকে কটাক্ষ করে বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতা আজ বলেন, “আরএসএস-ই ঠিক করে দেবে, কে কোন পদে থাকবেন! আর আমাদের আপত্তি থাকলেও গডকড়ীর মনোনয়নে সম্মতি দিতে হবে।” সঙ্ঘের এই ‘দাদাগিরি’র বিরুদ্ধেই অতীতে বিদ্রোহী হয়েছিলেন যশবন্ত সিন্হা, রাম জেঠমলানীর মতো নেতারা। কিন্তু আরএসএসের চাপে তাঁদেরও এখন সংযত থাকতে হচ্ছে। গডকড়ীর মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে যে সব বিজেপি নেতার আপত্তি রয়েছে, পারস্পরিক কোন্দলের কারণে তাঁরাও এক জোট হয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। অনেকে আবার সঙ্ঘের কোপে পড়ে ভবিষ্যতে বড় পদ না পাওয়ার ভয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
এই পরিস্থিতির সুযোগই নিতে চাইছেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। প্রথমত, ডিসেম্বরে সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নিতিন ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নিয়েছেন বলে সুকৌশলে সময় কিনেছেন তাঁরা। যাতে ক্ষোভ সামাল দেওয়ার জন্য হাতে যথেষ্ট সময় থাকে। দ্বিতীয়ত, নিতিনকেও ‘চুপ’ থাকতে বলা হয়েছে। যাতে তাঁকে ঘিরে নতুন করে কোনও বিতর্ক তৈরি না হয়।
সঙ্ঘের এক নেতার কথায়, অটলবিহারী বাজপেয়ী ও আডবাণীর জমানায় অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সঙ্ঘকে নাক গলাতে দিত না বিজেপি। দলে আর সেই পরিস্থিতি নেই। সঙ্ঘই এখন বিজেপি-কে নিয়ন্ত্রণ করে। রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে তাই নিতিন গডকড়ীই আপাতত তাদের প্রথম পছন্দ। |
|
|
|
|
|