|
|
|
|
প্রশাসনিক জটিলতা ধুলিয়ান পুরসভায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
ডান-বাম টানাপোড়েনে ফের প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হল ধুলিয়ান পুরসভায়। সোমবার বামেদের অনাস্থায় অপসারিত হলেন পুরপ্রধান। অন্য দিকে অবশ্য এই দাবিও উঠেছে যে, তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।
২০১০ সালে ১৯ সদস্যের ওই পুরসভায় সিপিএম ৮টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ২টি আসন পায়। কংগ্রেস পেয়েছিল ৯টি আসন। গরিষ্ঠতা থাকায় বোর্ড গড়ে বামফ্রন্টই। পুরপ্রধান হন সুন্দর ঘোষ। বছর ঘুরতেই দল ভাঙিয়ে অনাস্থা এনে বামেদের সরিয়ে পুরবোর্ড গড়ে কংগ্রেস। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে পুরপ্রধান হন মেহেবুব আলম। এক বছর পরে ২০১২ সালের ৩০ নভেম্বর ফের দলবদল ঘটে পুরসভায়। এ বার কংগ্রেস পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন বামেরা। ১০ জনের সমর্থন ছিল তাঁদের পক্ষে। পুরপ্রধান মেহেবুব আলম তার আগের দিনই পদত্যাগ করেছিলেন গোপনে। কাজেই কংগ্রেসের দাবি ছিল, পুরপ্রধান নিজেই ইস্তফা দিয়ে দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে আর অনাস্থা আনার কার্যকারিতা থাকে না। তবে বামেদের অনাস্থার তলবী সভা সোমবার যথারীতি অনুষ্টিত হয়। সেই সভায় ১০-০ ভোটে ‘অপসারিত’ হলেন মেহেবুব আলম। এই দিন কংগ্রেসের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট দু’শিবিরই ভিন্ন পথে হাঁটায় প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হল এই পুরসভায়। দুই শিবিরই অবশ্য নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল। উপপুরপ্রধান কংগ্রেসের দিলীপ সরকার বলেন, “গত ২৯ নভেম্বর মেহেবুব আলম পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। গত ১৯ ডিসেম্বর পুরআইন অনুযায়ী কাউন্সিলরদের এক সভায় সেই ইস্তফাপত্র গৃহীতও হয়েছে। তাই বর্তমানে আমিই পুরপ্রধানের দায়িত্বে রয়েছি।”
কিন্তু সিপিএম কাউন্সিলর সুন্দর ঘোষের বক্তব্য, “৩০ নভেম্বর কংগ্রেস পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ১০ জনের সমর্থনে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। পুরআইন অনুযায়ী পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানকে ২১ দিনের মধ্যে সভা ডেকে অনাস্থা নিয়ে আসোচনা করতে হবে। তা তাঁরা করেননি। এর ফলেই সোমবার তলবী সভা ডেকে অনাস্থা এনে ১০-০ ভোটে অপসারিত করা হয়েছে পুরপ্রধানকে।”
এই পরিস্থিতি নিয়ে জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, “ধুলিয়ানের পুরপ্রধানের পদত্যাগপত্র প্রশাসনের কোনও স্তরে কারও কাছেই জমা পড়েনি। তবে পুরপ্রধান কে হবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাউন্সিলরদেরই। পুরাইনে এ কথাই বলা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|