সংস্কৃতি যেখানে যেমন... |
ছাত্র যুব উৎসব |
• রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বিবেক ছাত্র যুব উৎসব হল রঘুনাথপুর কলেজে। উদ্যোক্তাদের তরফে উৎসব কমিটির সদস্য তথা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৭০ জন প্রতিযোগী যোগ দিয়েছিলেন। উপস্থিত ছিলেন রঘুনাথপুর ১ ব্লকের বিডিও সুনীতিকুমার গুছাইত। বিবেকানন্দের জীবন ভাবধারা ও কর্মজীবনের উপর বক্তব্য রাখেন শ্রীরামকৃষ্ণ তপোবন আশ্রমের (নানৃতম পাড়া)অধ্যক্ষ স্বামী ভাস্করানন্দ।
• বড়জোড়া ব্লক বিবেক ছাত্র যুব উৎসব হয়ে গেল সম্প্রতি বড়জোড়া কমিউনিটি হলে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী নিরন্তরানন্দ। উপস্থিত ছিলেন বড়জোড়ার বিধায়ক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, বড়জোড়া পঞ্চায়েতের প্রধান অলোক মুখোপাধ্যায়, বড়জোড়ার বিডিও ইস্তেয়াক আহমেদ-সহ আরও অনেকে। নাচ, গান, কবিতা পাঠের মতো প্রায় ২০টি সাংস্কৃতিক বিষয়ে প্রতিযোগিতা হয়। |
জয়চণ্ডীতে অনুষ্ঠান |
জয়চণ্ডীপাহাড় পর্যটন উৎসবে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে আগামী কাল মঙ্গলবার পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল থেকে সত্যজিৎ রায় মঞ্চে নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে। সত্যজিৎ রায় ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবির অনেকখানি জয়চণ্ডী পাহাড়ে সুর্টিং করেছিলেন। তাই এ বার উৎসবের মূল থিমই হল-- আসুন হীরক রাজার দেশে। শুক্রবার উৎসবের উদ্বোধন করে সঙ্গীত পরিবেশ করেন শিল্পী শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়। স্থানীয় শিল্পীরা গুপি বাঘার গল্প অবলম্বনে নৃত্যানুষ্ঠান করেন। স্থানীয় ক্ষুদিরাম মেমেরিয়াল বিদ্যাপীঠের পড়ুয়া-সহ স্থানীয় কিছু স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অনুষ্ঠান করে। আদ্রা, রঘুনাথপুর, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়ার শিল্পীদের সঙ্গে কলকাতার কিছু শিল্পীও অনুষ্ঠান করছেন। রয়েছেন অন্য রাজ্যের শিল্পীরাও। |
রেলের সেরো মেলা |
আদ্রায় সেরো মেলায় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল। পাঁচ দিনের ওই মেলা শুরু হয় ২৩ ডিসেম্বর। উদ্বোধন করেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার একে বর্মা। ছিলেন আদ্রার ডিআরএম অরবিন্দ মিত্তল-সহ রেলের পদস্থ কর্তারা। আদ্রা ডিভিশনের সাউথ ইর্স্টান রেলওয়ে উইমেন ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে আদ্রার সেরসা ময়দানে এই মেলার আসর বসেছিল। স্থানীয় স্কুলগুলির পড়ুয়াদের সঙ্গে বাইরের শিল্পীরাও অনুষ্ঠান করেন। |
উৎসব শেষ |
|
বিষ্ণুপুর উৎসবের শেষ দিন। সঙ্গীত পরিবেশন করছেন উস্তাদ নিশাত খান। নিজস্ব চিত্র। |
পর্যটন দফতর আয়োজিত তিন দিনের বিষ্ণুপুর সংস্কৃতি ও পর্যটন উৎসব শেষ হল রবিবার। বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য রাসমঞ্চের সামনে তিনদিন ধরে পরিবেশিত হল দেশের খ্যাতিমান শিল্পীদের গান-বাজনা ও নৃত্যের অনুষ্ঠান। শেষ দিনে মোহনবীণা বাজালেন পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভাট, কুচিপুরি নৃত্য পরিবেশন করলেন শ্রীলক্ষী গোবর্ধনন। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজিত গঙ্গোপাধ্যায়, সুভাষ কর্মকার, জগন্নাথ দাশগুপ্ত ও অসিত রায়। |
পত্রিকা প্রকাশ |
‘লালডহর অনন্য সংখ্যা’ প্রকাশ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান হয়ে গেল খাতড়ায়। মঙ্গলবার খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠানে গান ছাড়াও ‘ক্ষুদ্র পত্র-পত্রিকার বর্তমান সময়’- শীর্ষক একটি আলোচনাসভা হয়। আলোচক হিসেবে ছিলেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিমাংশু ঘোষ, অধ্যাপক শিবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। |
সিমলাপালে অনুষ্ঠান |
সিমলাপালের কুকরাকন্দর সরস্বতী শিশু মন্দিরের বাৎসরিক অনুষ্ঠান হল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কবিতা আবৃত্তি, নাচ, গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। ‘প্রাচীন ভারতবর্ষে পরিবেশ চেতনা’, ‘শিশু শিক্ষা’, ‘গ্রামীণ লোকসংস্কৃতি’ এবং ‘বিবেকানন্দ ও যুব সমাজ’ বিষয়ে আলোচনা হয়। শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। |
লিটল ম্যাগাজিন মেলা |
একাদশতম লিটল ম্যাগাজিন মেলা শেষ হল পুরুলিয়ায়। গত শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে ওই মেলা চলে। ঝাড়খন্ড-সহ এই রাজ্যের ৪২টি স্টল ছিল। এ বছর মেলা কবি জয়দেব বসুর স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উদ্যোক্তাদের তরফে রঞ্জন আচার্য জানান, করম নাচের মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন হয়। নৃত্য পরিবেশন করেন নরেন হাঁসদা ও সম্প্রদায়। |
স্কুলে অনুষ্ঠান |
বড়জোড়া বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের দশম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি বড়জোড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অনুষ্ঠানে নাচ, গান ও কবিতা পাঠ করে।
|
|
সারেঙ্গায় বিবেক মেলার শেষ দিন। নিজস্ব চিত্র। |
|
|
নাটক সারা বছর |
|
‘কাল বা পরশু’ নাটকের একটি দৃশ্য। |
৭০ থেকে ৮০-র দশক বীরভূমে নাট্যচর্চার সেরা সময় হিসাবে চিহ্নিত। সেই সময় গ্রামে গ্রামে গড়ে উঠেছিল নাট্যদল। চুটিয়ে হত একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা। কিন্তু এখন অস্তিত্ব নেই সেই সব নাট্যদলগুলির অনেকেরই। তবে জেলার নাট্য ইতিহাসে প্রায় শতাধিক বছরের ঐতিহ্য কোনও রকমে টিকিয়ে রেখেছে নলহাটির ‘কুরুমগ্রাম সম্মিলনী’। এক সময় জেলার নজর কেড়েছিল নলহাটি ‘ফ্রেন্ডস ক্লাব’ ও বোলপুরের ‘নাট্যসারথী’। এদের মধ্যে দীর্ঘ দিন কোনও নাটক মঞ্চস্থ করতে পারেনি ফ্রেন্ডস ক্লাব। নাট্যসারথীও নাটক মঞ্চস্থ করে কালেভদ্রে। এ দিকে নিঃস্তব্ধ রামপুরহাটের ‘বীরভূম নাট্য কেন্দ্রম’ও। সিউড়ির নাট্যদল ‘আনন’ আগে বছরে একাধিক নাটক মঞ্চস্থ করলেও বর্তমানে গত ৩-৪ বছর ধরে একটিই নাটক তারা মঞ্চস্থ করছে। তবে আশার কথা হল, জেলায় গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি নতুন নাট্যদল গড়ে উঠেছে। নাটক নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করছে। শুধু এ বছরেই বীরভূমে নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার হিসাব দেখলে আশা তো জাগেই!
|
সিউড়ি: এখনই, তিনটি নাটক এক বার মঞ্চস্থ হয়েছে। থিয়েটার অভিযান, চারটি ছোট নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। একটি নাটক চার বার মঞ্চস্থ হয়েছে। ইয়ং নাট্য সংস্থা, ছ’টি নাটক মঞ্চস্থ করেছে। যার মধ্যে একটি দু’বার, একটি ছ’বার এবং একটি চার বার মঞ্চস্থ হয়েছে। আত্মজ, একটি নাটক রাজ্য জুড়ে ২৫ বার মঞ্চস্থ হয়েছে। আরও একটি নাটক গত তিন বছর ধরে মঞ্চস্থ হয়েছে ১৫ বার। আনন, একটি নাটক এক বার মঞ্চস্থ হয়েছে। আর গত চার বছর ধরে একটি নাটক রাজ্য জুড়ে ৫০ বার মঞ্চস্থ হয়েছে। বীরভূমের আনন, একটি নাটক এক বার ও পুরনো দশটি নাটক ২৪ বার মঞ্চস্থ হয়েছে।
|
|
‘চৈতালি রাতের স্বপ্ন’। |
|
বোলপুর: আমরা সবুজ, দু’টি নাটকের মধ্যে একটি দশ বার ও অন্যটি সাত বার মঞ্চস্থ করেছে। স্থাপনা, দু’টি নাটক এক বার করে মঞ্চস্থ হয়েছে। সাহিত্যিকা, দু’টি নাটক এক বার করে মঞ্চস্থ হয়েছে। পুরনো একটি নাটক এখনও পর্যন্ত ২২ বার মঞ্চস্থ হয়েছে। রূপকথা, আগে নাম ছিল আশ্রমিক সংঘ ও অ্যালামণি অ্যাসোসিয়েশন। ওই দুই নামে ১৯৬২ সাল থেকে মূলত কলকাতায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভূতপত্রীর যাত্রা’ নাটকটি হয়ে আসছে। ওই নাটকে অভিনয় করেছেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মোহন সিংহ খাঙ্গুরা ও গোরা সর্বাধিকারী।
|
রামপুরহাট: রঙ্গম, একটি নাটক তিন বার ও দু’টি নাটক এক বার করে মঞ্চস্থ করেছে। প্রবাহনাট্যম, কিশোরদের একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছে।
|
লাভপুর: বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী আটটি নাটক ৫২ বার মঞ্চস্থ করেছে। শতাধিক বছরের প্রাচীন অতুল শিব ক্লাব একটি নাটক এক বার মঞ্চস্থ করেছে। |
|
‘চোর’ নাটকের একটি দৃশ্য। |
|
আমোদপুর: নাট্যতীর্থ, একটি নাটক তিন বার, দু’টি নাটক দু’ বার মঞ্চস্থ হয়েছে।
|
সাঁইথিয়া: আসরনাট্যম, চারটি নাটকের মধ্যে একটি পাঁচ বার মঞ্চস্থ হয়। |
তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র। |
|