দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে জিল্লার রহমান (৪৯) নামে জলঙ্গির ঝাউদিয়ায় এক কংগ্রেস নেতা খুন হলেন শনিবার রাতে। কংগ্রেসের দাবি, ওই খুনে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা জড়িত। সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে। খুনের ঘটনার প্রতিবাদে জলঙ্গি ব্লকে রবিবার ১২ ঘন্টার বন্ধ পালন করে কংগ্রেস। ওই ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মৃণাল মজুমদার বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ওই ঘটনায় ১০ জনের নামে জলঙ্গি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।” |
বন্ধে সুনসান জলঙ্গি। ছবি: বিশ্বজিৎ রাউত। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অগস্টে খুন হন জলঙ্গির এক কংগ্রেস কর্মী। সেই সময়েও সিপিএমের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার চার মাস পরে জলঙ্গির ঘোষপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কংগ্রেস সদস্য জিল্লার খুন হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, “জলঙ্গি ব্লকে সিপিএম দুর্বল হয়ে পড়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হারানো মাটি ফিরে পেতে খুন-সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে সিপিএম। এতে পুলিশেরও মদত রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে সিপিএমের সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কর্ণপাত করেনি।”
সোমবার জেলা জুড়ে ধিক্কার সভার আয়োজন করেছে কংগ্রেস। জলঙ্গি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, “জিল্লার ছিলেন ব্লক কংগ্রেসের সদস্য। জিল্লার ও আমি ওই রাতে এক সঙ্গে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়েছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পুলিশ ও সিপিএম যৌথ ভাবে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের উপরে আক্রমণ শুরু করেছে। পুলিশ সদর্থক ভূমিকা পালন করছে না বলেই কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের খুন হতে হচ্ছে।” সিপিএমের অবশ্য দাবি, তারা ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে জড়িত নয়। সিপিএমের জলঙ্গি জোনাল কমিটির সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক ইউনুস সরকার বলেন, “ওই খুনের ঘটনায় সিপিএম জড়িত নয়। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ওই ব্যক্তি খুন হয়েছেন। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই ওই খুনের ঘটনায় সিপিএমের নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।” |