সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কার্যালয় থেকে শনিবার অস্ত্র উদ্ধারের সময়ে ধৃত ১০ জনের ন’জনকে ১৪ দিন জেল-হাজত ও এক জনকে দু’দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। রবিবার ধৃতদের আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়।
অস্ত্র উদ্ধারের সময়ে পাশের মহকুমা আদালত চত্বর থেকে যে ভাবে রাজু মালিক ও দিলীপ মালিক নামে দুই সিপিএম কর্মীকে মারতে মারতে বের করে আনা হয়, তাতে স্তম্ভিত আইনজীবী মহল।
ওই ঘটনায় আরামবাগ বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেন-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এফআইআর করা হয়েছে। রাজু মালিকও সোহরাবের বিরুদ্ধে মারধরের লিখিত অভিযোগ রবিবার থানায় দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, সোহরাব পলাতক।
হামলার নিন্দা করে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলে আরামবাগ বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অরূপ হাজরা বলেন, “অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে বিষয়টি প্রস্তাবনা আকারে মহকুমাশাসক থেকে রাজ্য স্তরে এবং উচ্চ আদালতেও জানানো হচ্ছে।”
আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা আছে, শনিবার এই দাবি তুলে পুলিশ আসার আগেই সিপিএমের আরামবাগ জোনাল কমিটির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এক নেতা-সহ সিপিএমের তিন জন মার খান। পরে পুলিশ ওই কার্যালয়ে ঢুকে একটি একনলা বন্দুক, একটি রিভলভার ও ৬০টি বোমা উদ্ধার করে। সিপিএমের পক্ষ থেকে কার্যালয়ে হামলার কোনও লিখিত অভিযোগ রবিবারেও পুলিশের কাছে দায়ের করা হয়নি।
ওই জোনাল কমিটির সম্পাদক গণেশ অধিকারী জানান, সোমবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্য দিকে, রবিবার বিকেলে তৃণমূল সিপিএম কার্যালয় ও ওই দলের নেতাদের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে আরামবাগে মিছিল করে। |