পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে উত্তেজনা ছড়াল বরাহনগর জ্যোতিনগর বিদ্যার্থী নিকেতনে। রবিবার দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ স্কুলের এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত।
গণ্ডগোলের পরে সিপিএম অভিযোগ জানিয়েছে, বহিরাগত প্রচুর তৃণমূল সমর্থক এ দিন স্কুলের ভিতরে ঢোকে। তাঁদের অভিযোগ, বরাহনগর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের অপর্ণা মৌলিক এবং ভাইস-চেয়ারম্যান রামকৃষ্ণ পালের উপস্থিতিতে এ দিন তৃণমূলের লোকজন সিপিএমের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর করে এবং তাঁদের প্রতিনিধিদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। স্থানীয় সিপিএম নেতা অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওরা আমাদের চার জনকে মারধর করেছে।” যদিও এই ঘটনা অস্বীকার করেছেন বরাহনগর পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান অর্পণা মৌলিক। উল্টে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন, দুপুর দু’টো পর্যন্ত ভোটগ্রহণ ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু এর পরে আচমকা ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন প্রিসাইডিং অফিসার তাপস আচার্য। তিনি বরাহনগরেরই অন্য একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। অর্পণাদেবী জানান, তাঁরা ওই প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে ভোট বন্ধের কারণ জানতে চাইলে তাঁদের বলা হয় ভোটগ্রহণের পরিবেশ নেই। অর্পণাদেবী এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে ভোট কেন্দ্রের ভিতরে চড় মারার মতো সামান্য ঘটনাও ঘটেনি, সেখানে কি করে বলা হল ভোটের পরিবেশ নেই!
ঘটনা প্রসঙ্গে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রামকৃষ্ণ পালের বক্তব্য, কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। প্রচুর লোক ভোট দেওয়ার জন্য বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই ভিড়ের জন্য একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে মাত্র। তিনি জানান, ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হলেও, তাঁরা দাবি জানান দুপুর দু’টো পর্যন্ত যে ভোট গ্রহণ হয়েছে, তার ভিত্তিতে ভোটের ফল প্রকাশ করার। কিন্তু তা না করে ওই প্রিসাইডিং অফিসার ভোট বন্ধ করে দেন। যে ঘরে ভোটগ্রহণ হচ্ছিল, সেখানে তালা ঝুলিয়ে তিনি প্রধান শিক্ষকের ঘরে বসেছিলেন বলেও তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। অর্পণা মৌলিক বলেন, “সিপিএমের লোকজনের নির্দেশেই প্রিসাইডিং অফিসার এই কাজ করেছেন।
ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ৭৬৫ জন। এত দিন এই সমিতি সিপিএমের হাতে ছিল। সিপিএমের অভিযোগ, পরিচালন সমিতিতে নিজেদের লোক ঢোকানোর জন্যই তৃণমূল বাইরের লোক ঢুকিয়ে ভোট বানচাল করেছে। |