দিল্লি থেকে বারাসত, মহিলাদের উপরে একের পর এক নির্যাতনের ঘটনার প্রেক্ষিতে এ বার বর্ষশেষের রাতে ‘অতি সতর্ক’ কলকাতা পুলিশ।
লালবাজার সূত্রের খবর, এ বার পার্ক স্ট্রিটে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় থাকছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সশস্ত্র ও রিজার্ভ ফোর্সের কর্মীদের মোতায়েন করা হচ্ছে। থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশ। গাড়ি তল্লাশির দায়িত্ব মূলত থাকছে ট্রাফিক পুলিশের হাতে। এ ছাড়াও, পার্ক স্ট্রিট এলাকায় একশোরও বেশি সিসিটিভি-ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আজ, সোমবার বর্ষশেষের রাত ও আগামিকাল, মঙ্গলবার বছরের প্রথম দিনে হাজার পাঁচেক পুলিশকর্মী ওই এলাকায় থাকবেন।
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, “সব উচ্চপদস্থ অফিসারেরা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ডিউটিতে থাকবেন। পুলিশের হাতে ভিডিও ক্যামেরা থাকছে।” এ ছাড়াও, প্রায় পৌনে দুশো পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। জোর দেওয়া হচ্ছে গাড়ি তল্লাশিতেও।
প্রতি বছরই বর্ষশেষের রাতে পার্ক স্ট্রিটে ভিড় জমান কয়েক হাজার মানুষ। শুধু তাই নয়, ট্যাংরার চিনে পাড়া-সহ রেস্তোরাঁ পাড়াগুলিতেও থাকে থিকথিকে ভিড়। ঘটে নানা অপরাধও। বছর কয়েক আগে এমন রাতেই শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘিরে এক পুলিশ অফিসারের খুনের ঘটনা দেখেছিল শহর। এ বার বছর শেষের মাসে দিল্লির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চায় লালবাজার। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) জাভেদ শামিম বলেন, “অন্য বছরের তুলনায় এ বার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, ক্রিসমাস ইভের রাতে এ বার তেমন ভিড় জমেনি আলো ঝলমলে পার্ক স্ট্রিটে। তবে রবিবার, বর্ষশেষের আগের রাতেই বহু লোক ভিড় জমিয়েছেন হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোয়। এ দিনই এই এলাকায় কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
লালবাজার সূত্রের খবর, শনিবার ক্রাইম কনফারেন্সেই এই অতি সতর্কতার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা। বর্ষশেষের রাতে ইভটিজিংয়ের মতো অপরাধ ঠেকাতে পুলিশের প্রতিটি ডিভিশনে দু’টি করে বিশেষ টিম গঠন করতে নির্দেশ দেন তিনি। পুরুষ কনস্টেবলের পাশাপাশি মহিলা কনস্টেবলরাও ওই দলে থাকবেন। পার্ক স্ট্রিট এলাকায় ভিড়ের মধ্যে সাদা পোশাকে মহিলা ও পুরুষ গোয়েন্দারা থাকবেন। থানাগুলিকেও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চকর্তারা। |