বেদব্রত পাইন
আমার মতে আজকের মূল মন্ত্র হল আজকের জন্যই বেঁচে থাকা। গত বছর এই সময় ভাবছিলাম কী ভাবে ‘চিটাগং’ মুক্তি পাবে। সে জন্য আমি কঠোর পরিশ্রমও করেছিলাম। ছবিটা দর্শকের মনে সাড়া ফেলায় আমার খুব ভাল লেগেছে। কিন্তু ডিসেম্বরে এই ছবির জন্য ইতালিতে একটা পুরস্কার নিতে গিয়ে খবর পাই বাবা মারা গিয়েছেন। এর পর কোনও রেজলিউশন-এর কথা ভাবতে পারছি না। পরিস্থিতি যে ভাবে আসবে সে ভাবেই কাজ করে যাব।
|
|
ট্রেভর মর্গ্যান
২০১৩ সালে আমার রেজলিউশন একটাই। আই লিগ-কে আবার কলকাতায় ফেরত আনা। এটাই আমার সব চেয়ে বড় রেজলিউশন। এ ছাড়া সব দিক থেকে আমার ক্লাব ভাল থাকুক, এটাই চাই আমি। ভাল থাকুক আমার ক্লাবের খেলোয়াড়রা, ক্লাব কর্তারা এবং অবশ্যই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমস্ত ফ্যান। তবে আলাদা করে সারা বছরের রেজলিউশন কখনওই নেওয়া হয় না সে ভাবে। জীবন এত অনিশ্চিত আজকাল! আমার তো মনে হয় প্রত্যেক মাসে রেজলিউশন থাকাটাই ভাল। তাতে ওগুলো খুব তাড়াতাড়ি পূরণ করা যায়। আর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যগুলো পূরণ করার রাস্তাও সহজ হয়ে যায়।
|
|
মহেশ ভট্ট
কারও পক্ষে সব চেয়ে ভাল রেজলিউশন
এটাই হতে পারে যে সে কোনও রেজলিউশন নেবে না! |
|
শান্তনু মৈত্র
সময় যেমন ভাবে আমার কাছে আসবে, সে ভাবেই কাজ করব। আর এই রকম দ্রুত সময়ে রেজলিউশন নিয়ে সেটাকে ‘ফুলফিল’ করার আগেই সময়ের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। তবে এই দেশের নাগরিক হিসেবে আমার একটা রেজলিউশন হল যখনই পারব চেষ্টা করব পুরুষদের মধ্যে মেয়েদের প্রতি সম্মান জাগিয়ে তুলতে। কোথাও মেয়েদের তুচ্ছ করে দেখা হয় বলেই এই রকম একটা বিপর্যয় ঘটে গেল দিল্লিতে। দিল্লির ছেলে হিসেবে আমার খুব খারাপ লাগছে মেয়েটির জীবন এই রকম অকালে এত অসম্মানে শেষ হয়ে গেল বলে। রেজলিউশন যদি রাখতেই হয় চেষ্টা করব পুরুষদের মানসিকতা বদলাতে। যাতে কোনও চারটি বা পাঁচটি পুরুষের অপকীর্তির জন্য আমাদের গোটা পুরুষজাতির মুখে চুনকালি না পড়ে। আমাদের চার পাশে মেয়েদের খাটো চোখে দেখা পুরুষের অভাব নেই। তাদের মগজ ধোলাই করতে চাই।
|
|
শতাব্দী রায়
রেজলিউশন নেওয়ায় বিশ্বাস করি না। কালকের প্ল্যানই করি না তো সারা বছরের প্ল্যান করব কী করে? রেজলিউশনের মধ্যে গেলেই একটা আশা তৈরি হয়। তাতে ভয় আছে। আশা তৈরি হওয়ার পর সেই আশা যদি না মেটে তখন খুব মন খারাপ হবে। তবে আমার নির্বাচনী ক্ষেত্র বীরভূমের জন্য আরও বেশি করে কাজ করতে চাই সারা বছর। সেখানকার মানুষের চাওয়া পাওয়ার কথা আমি সংসদে জানাব। যথাসাধ্য চেষ্টা করব তাঁদের চাহিদা পূরণের।
|
|
রূপম ইসলাম
আমি কোনও দিনই বার্ষিক রেজলিউশনে বিশ্বাস করিনি। ছোট ছোট রেজলিউশন রাখতেই বেশি পছন্দ করি। এখন যেমন খুব ব্যস্ত থাকব ‘ফসিলস’-য়ের লাইভ শো নিয়ে। আর আমি চাই প্রত্যেকটা লাইভ শোয়ে নতুন কিছু দিতে। তাই সামনের কয়েক মাসের রেজলিউশন থাকবে সব লাইভ শোয়ের আগেই জমিয়ে রিহার্স্যাল করা।
তা ছাড়া সামনেই কয়েকটা ছবির মিউজিক ডিরেকশনের কাজ আছে। দেবরাজ সিংহের ‘আকর্ষণ’ আর রাজা সেনের ‘কর্নেল’। অ্যালেন আর আমার কোয়ার্টালি রেজলিউশন তাই সেগুলো নিয়েই প্ল্যানিং করা। তেমন কোনও ব্যাড হ্যাবিট তো আমার নেই, তাই পার্সোনাল কোনও রেজলিউশনও আমার নেই।
|
|