এক সপ্তাহের মাথায় ফের এক রাতে তিনটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের বাণেশ্বরে। মঙ্গলবার রাতে কোচবিহার কোতোয়ালি থানার বাণেশ্বর বাজার এলাকায় দুটি গয়না ও একটি মোবাইল সামগ্রীর দোকানে ওই চুরির ঘটনা ঘটেছে। উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ বাঙ্কের স্থানীয় শাখা ও একটি সমবায় সমিতির দফতরেও দুষ্কৃতীরা চুরির চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে বাণেশ্বর বাজার ও লাগোয়া এলাকায় মোট ৬টি চুরির ঘটনা ঘটল। গত বুধবার রাতে একই সঙ্গে তিনটি দোকানে চুরির ঘটনার পরেও পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় দুষ্কৃতীদের সাহস বাড়ছে বলে অভিযোগ। এর পুনরাবৃত্তি আশঙ্কা এড়াতে বাণেশ্বরে ফাঁড়ি বসানোর দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “চুরির ঘটনা শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” অন্য দিনের মত মঙ্গলবার রাতেও দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান ব্যবসায়ীরা। সকালে দোকান খুলতে গিয়ে তাঁরা দেখেন তালা ভাঙা। ভেতরে তছনছ করে গয়না, মোবাইল সহ বিভিন্ন সামগ্রী চুরি গিয়েছে। উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের বাণেশ্বর শাখাতেও গ্রিল ও তালা কেটে ঢোকে। ভল্ট কেটে চুরির চেষ্টাও করে। তবে শেষ পর্য্যন্ত চুরি করতে পারেনি। গত বুধবার রাতে বাণেশ্বর বাজারে দুটি গয়নার দোকান ও একটি কাপড়ের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। তারও কিছু দিন আগে বাণেশ্বরের প্রভাতী পল্লী এলাকায় এক শিক্ষকের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। একটি বাইক চুরি হয় বটতলা এলাকা থেকে। বাণেশ্বর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিজন দেবনাথ বলেন, “এক সপ্তাহ আগে বাজারে তিনটি দোকানে একই সঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতেও ফের একই রাতে ফের তিনটি দোকানে চুরির লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী চুরির ঘটনায় আমাদের আতঙ্ক বেড়েছে। এলাকায় পুলিশ ফাঁড়ি বসানো না হলে উদ্বেগ কমবে না।” এদিন কোচবিহার কোতোয়ালি থানার আইসি’র কাছে ওই দাবি পূরণ ও দ্রুত ঘটনার কিনারার দাবিতে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। |