উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জাঁকিয়ে বসা ঠান্ডার প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত। অন্য দিকে তাপমাত্রা কমতে থাকায় চাষিদের কপালে ভাঁজ পড়েছে। সূর্যের দেখা নেই। দিনভর কনকনে হাওয়া। এক সপ্তাহ ধরে চলা ওই পরিস্থিতিতে সবজির ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষি কর্তারাও। তাঁরা জানান, কয়েক দিন পরিস্থিতি চলতে থাকলে সরষে, ভুট্টার ফুল ধরতে সমস্যা হবে। বোরো ধানের বীজতলাতেও ক্ষতি হতে পারে। কনকনে ঠান্ডার কারণে উদ্ভিদের ক্ষতি শুরু হয়েছে। মালদহের মুখ্য কৃষি আধিকারিক সজল ঘোষ বলেন, “আবহাওয়া একই থাকলে কৃষিতে ক্ষতি হবে।” জেলা আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মালদহের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। যা স্বাভাবিকের ৪ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ১২ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কমেছে মাটির তাপমাত্রা। কৃষি কর্তারা জানান, উত্তুরে হাওয়ার দাপট বেশি হওয়ায় মালদহের তুলনায় চাঁচলে তাপমাত্রা আরও কম। মহকুমা কৃষি আধিকারিক অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “চাঁচলে উত্তুরে হাওয়ার দাপট বেশি। মাটির তাপমাত্রাও এখানে কমছে।” এই আবহাওয়ায় দিশেহারা চাষিরা। সবজির পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে। সরষে, ভুট্টা খেতেও একই সমস্যা। আলু খেতে রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কলা বাগান। ফুল কপি, বাঁধা কপি বাড়ছে না। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। সন্ধ্যায় রাস্তা খালি হয়ে পড়ছে। বন্ধ হচ্ছে দোকানপাট। গরিব লোকজন আগুন জ্বেলে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। গরম কাপড়, কম্বল আশায় পঞ্চায়েত দফতরগুলিতে তাঁরা ভিড় করছেন। ত্রাণ আধিকারিক সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “জেলার জন্য ১০ হাজার কম্বল চাওয়া হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে পেয়ে যাব।” |